যাদের জন্যে দেশ (ভিডিওসহ)

মুক্তিযুদ্ধের সময় কাজী আখতারুজ্জামানের বয়স ছিল মাত্র ১৪ কী ১৫।
যাদের জন্যে দেশ (ভিডিওসহ)

রাইফেল হাতে নয় কিন্ত সার্বক্ষণিক সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে বালক বয়সেই নিজেকে গভীরভাবে সম্পৃক্ত করেছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে।

বিজয়ের দিনে হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় তার। যুদ্ধ দিনের নানা গল্প শোনান তিনি।

সম্মুখ ময়দানে যুদ্ধ না করলেও কখনো গভীর রাতে স্বাধীনতার পক্ষে লিফলেট বিলি করেছেন, দিনভর ঢাকার আটিবাজার ক্যাম্প থেকে কেরানীগঞ্জ ক্যাম্পে নানা সাহায্যার্থে ছুটে গিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের হয়ে রাইফেল বহন করেছেন, তাদের বাড়িতে সরাসরি আশ্রয়ও পেয়েছেন বহু মুক্তিযোদ্ধা। শিকার হয়েছেন পাক হানাদার বাহিনীর অত্যাচারেরও। 

কাজী আখতারুজ্জামান এক রাতের অত্যাচারের কথা স্মরণ করে বলেন, “একদিন রাত ১২ তার দিকে আমি ও আমাদের আরও কিছু বড় ভাইকে পাকিস্তানি আর্মিরা ধরে নিয়ে যায় আর্মি রিক্রুইটিং অফিসে। সেখানে অনেক টর্চার করে। দুই হাত দিয়ে কানের মধ্যে অনেকগুলা চড় মারে। আমি তখন কান্নাকাটি করি।” 

স্বাধীন দেশে বসবাস করার স্বপ্নই যেন বালক আখতারকে টেনে নিয়ে যায় যুদ্ধে।

সেই বালক এখন বৃদ্ধ। তবে ক্ষোভ জমে আছে বুকের ভেতর।

কিন্তু পরবর্তীতে দেশে বহু রাজাকারকে ভুয়া মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট নিতে দেখে নিজে সার্ফিকেট নেননি।

তিনি হ্যালোকে বলেন, “সার্টিফিকেট নাই বলে আমার আক্ষেপ নাই। আমি ও আমার সাথে সে সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছে বন্ধুদের অনেকেই সার্টিফিকেট নেয় নাই। আর আমাদেরকে যে সার্টিফিকেট দিবে বলেছিল সেও আর দেয়নি। আমিও আর চিন্তা ভাবনা করি নাই। দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে, সার্টিফিকেট দিয়ে আর কী করব এটা ভাবতাম। আর এখন দেখি যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি তারাও মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট পেয়েছে।”

বর্তমানে স্ত্রী দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি পুরান ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অবসর যাপন করছেন। তার পরিবার জানায়, তারা উনাকে নিয়ে গর্ববোধ করেন।

কাজী আখতারুজ্জামানের স্ত্রী নাসিমা বেগম হ্যালোকে বলেন, “উনি যে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করছেন এজন্য আমরা গর্ববোধ করি, তিনি সার্টিফিকেট নেন নাই আমাদের আফসোস নেই। আমার ছেলেমেয়েরা ওর বাবার জন্য গর্ববোধ করে।”

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com