রেলস্টেশনের কুলিদের দিনকাল (ভিডিওসহ)

কমলাপুর রেলস্টেশনে প্রায় সব কুলির জীবনই কাটে শুধুই রেলে যাতায়াত করা যাত্রীদের লাগেজ বহন করে। কেউ এসেছেন বাড়ি থেকে পালিয়ে, কেউ অভাবের তাড়নায়, আবার কেউ নদীভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে স্টেশনে এসে সঙ্গ পেয়ে বেছে নিয়েছেন কুলির জীবন।
রেলস্টেশনের কুলিদের দিনকাল (ভিডিওসহ)

যখন হুইসেল বাজিয়ে ট্রেনের আগমন ঘটে, তখনই শুরু হয় তাদের আসল যুদ্ধ। করোনাপরিস্থিতে যাত্রীর আনাগোনা কম, তাই জীবিকা নির্বাহে নিদারুণ কষ্টে কুলিরা। রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সাথে কথা হয় কয়েকজন কুলিদের।

অল্প বয়সেই কুলির কাজ করা আরমান আলী বলেন, "যাত্রী আসলে পরে যাত্রীদের মালামাল নিয়া যাই। যাত্রীরা খুশি হইয়া একশ দেয়, দেড়শ দেয়, দুইশ দেয়। আবার পঞ্চাশও দেয়। দেয় যেমনে খুশি।"

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে কুলির কাজ করা ইদ্রিস আলী বলেন, “আগে মাথায় ঘাড়ে করে মালের বস্তা টানতে হতো৷ কিন্তু এখন ট্রলি থাকায় কিছুটা সুবিধা হয়।"

কষ্টের হিসাবে আয়ের মিল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "মিল হয় না। এই যে তিনশ-চারশ-পাঁচশ এইগুলা দিয়া মনে করেন যে সংসার চালাইতে কষ্ট। ২০০ লেবার আছে কোনো এক গাড়িতে কাজ পাইতেছে তো পাঁচ গাড়িতে পাইতেছে না। এই হলো পরিস্থিতি।"

করোনা পরিস্থিতিতে কী রকম আয় হচ্ছে জানতে চাইলে, আলমগীর হোসেন বলেন, "এখন আগের মতো ইনকাম নাই। আপনার আগে যদি পাঁচশত টাকার কাজ করতাম, এখন দেখা যায় দুই-আড়াইশ-তিনশ টাকা হয়।"

অনেক কুলিই কমলাপুরের আশেপাশের বস্তিতেই পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। কুলির কাজ করতে যে ইচ্ছুক তাকে দুই তিন মাস পর্যবেক্ষণ করা হয়, এরপর তালিকায় নাম উঠিয়ে স্টেশন অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে নম্বর দেওয়া হয়। মাল টানা বাবদ কেজি প্রতি ১৫ টাকা করে নির্ধারণ করা থাকলেও কেউ কেউ খুশি হয়ে বেশি  দিয়ে থাকেন আবার জোর করে বেশি টাকার দাবি করার অভিযোগও রয়েছে তাদের প্রতি।

আক্ষেপের সুরে রশিদ মিয়া জানান, "বর্তমানে তো ইনকাম নাই। অনেক কম কোন রকম আর কি জীবনযাপন করতেছি।" 

করোনা পরিস্থিতি সংসার কীভাবে চালাচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল বলেন, "আগে যেভাবে চলাইছি এহন তার থেকে একটু কষ্ট হইয়া যায়গা। তারপরও আমাদের চলাইতে হয়। চলতে হয়। ঘরভাড়া টরভাড়া বাইজা রইছে।"

তবে রেল খাতের অনেক উন্নয়ন হলেও তাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের কারণে গত মার্চের শেষদিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছিলো সরকার। এরপর গত ৩১শে মে থেকে এক সিট ফাঁকা রেখে শুরু হয় রেলযাত্রা। গত ১৬ই সেপ্টেম্বর থেকে সব আসনে যাত্রী নিয়ে চলাচলের অনুমতি পায় বাংলাদেশ রেলওয়ে।

তুমি কি জান, সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা হ্যালো শুধুই শিশুদের কথা বলে? বয়স যদি ১৮’র কম হয়, তাহলে তুমিও হতে পার শিশু সাংবাদিক! তাহলে আর কী, নিজের তৈরি প্রতিবেদন, ভিডিও প্রতিবেদন, ভ্রমণকাহিনী, জীবনের স্মরণীয় ঘটনা, আঁকা ও তোলা ছবি, বুক বা সিনেমা রিভিউ পাঠাতে পার আমাদের কাছে। লিখতে পার প্রিয় সাহিত্যিক ও ব্যক্তিত্বকে নিয়েও। এমনকি নিজের কথা লিখতেও নেই কোনো মানা।

লেখা ও ভিডিও পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সঙ্গে নিজের নাম, ফোন নম্বর, জেলার নাম ও ছবি দিতে ভুলবে না কিন্তু। তবে তার আগে রেজিস্ট্রেশন করতে ক্লিক করো reg.hello.bdnews24.com

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com