কিন্তু তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের প্রতি এ দেশের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিটা এখনো ঠিক হয়নি। তাদেরকে এ দেশের, এ পৃথিবীর স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে মেনে নিতে চাই না আমরা।
তারা আজও অবহেলিত এবং নানাভাবে নির্যাতিত। কেউ অবহেলার শিকার সমাজের দ্বারা, কেউবা নিজ পরিবার দ্বারাই। মা পর্যন্ত নিজ সন্তানকে মেনে নিতে চায় না, দেখে ঘৃণার চোখে। পরিবার ছাড়া করতেও কখনো ভেবে দেখে না।
কোথাও আশ্রয় না পেয়ে নিজ পরিবার, নিজ সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে। তাদের মনের অবস্থাটা যেন কেউই বোঝার চেষ্টা করে না। তাদের যদি আমরা মানুষ ভাবতাম তাহলে নিশ্চয় আমাদের মনে সহানুভূতি জাগত।
আমরা তাদের অমানুষ ভাবি, অবহেলা করি। একটা সময় তারা নিজেরাই নিজেকে আর স্বাভাবিক ভাবতে পারে না। জড়িয়ে পড়ে নানা অন্যায় কাজে।
আমরা যদি তাদের সম্মান দিতাম তাহলে অবশ্যই তারাও মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখত। তারাও স্বপ্ন দেখত এই দেশটা নিয়ে, দেশের মানুষকে নিয়ে।
২০১৩ সালে হিজড়াদের ‘লিঙ্গ পরিচয়কে’ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশ সরকার। এর ফলে সরকারি নথিপত্র ও পাসপোর্টে তাদের লিঙ্গপরিচয় ‘হিজড়া’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
এ সম্প্রদায় এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু এখন দরকার আমাদের সমর্থন। তাদেরকে এগিয়ে দিতে আমাদের এগিয়ে আসা উচিত। তাদের অবহেলা করলে তা হবে অন্যায়।
এসকল হিজড়াদের দেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে।ফলে তারা অনেকেই আজ স্বশিক্ষিত। এখন শুধু দরকার সমাজের মানুষের একটু উন্নত দৃষ্টিভঙ্গি।তাদের বোঝানো উচিত একটু ভালোবাসা এবং সহানুভূতিই বদলে দিতে পারে শত শত হিজড়ার জীবন।তাহলে তারাও নিজেদের সম্মানের সাথে সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারবে।প্রমাণ করতে পারবে তারা অন্যান্য স্বাভাবিক মানুষের থেকে কোন অংশে কম নয়।ফলে বদলাবে দেশ, বদলাবে তাদের জীবন।