তার বাড়ি বর্ধমানের চুপী গ্রামে। বাবা রজনীনাথ দত্ত ছিলেন কলকাতার ব্যবসায়ী এবং তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক উনিশ শতকের বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক অক্ষয় কুমার দত্ত ছিলেন তার পিতামহ।
কলকাতার সেন্ট্রাল কলেজিয়েট স্কুল থেকে এন্ট্রান্স (এসএসসি) এবং জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশন (বর্তমান স্কটিশ চার্চ কলেজ) থেকে এফএ (এইচএসসি) পাস করেন। বিএ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে বাবা রজনীনাথ দত্তের ব্যবসায় যোগ দেন।
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি কাব্য চর্চা করতেন। দর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস ভাষা ধর্ম ইত্যাদি বিষয়ে তিনি অনুরাগী ছিলেন।
কর্মজীবনে তিনি প্রথমে ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করেন কিন্তু পরে ব্যবসা ছেড়ে সাহিত্যসাধনায় মনোনিবেশ করেন।
প্রথম প্রথম কবির লেখাগুলোতে মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দেবেন্দ্রনাথ সেন, অক্ষয়কুমারের মতো বড় বড় সাহিত্যিকদের প্রভাব পাওয়া যেত।
সবিতা, সন্ধিক্ষণ, বেণু ও বীণা, হোম-শিখা, অভ্র আবির, বেলা শেষের গান, বিদায় আরতি তার মৌলিক কাব্যগ্রন্থ। তার অনুবাদ কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে তীর্থরেণু, তীর্থ সলিল, ফুলের ফসল প্রভৃতি। বিবিধ উপনিষদ ও কবির নানক রচনা এবং আরবি-ফারসি চিনা জাপানি ইংরেজি ফরাসি ভাষার অনেক উৎকৃষ্ট কবিতা ও গদ্য বাংলায় অনুবাদ করেন তিনি।
বিভিন্ন ধরণের ছন্দ উদ্ভাবনে তিনি ছিলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। দেশাতত্মবোধ, ঐতিহ্যচেতনা, মানবপ্রীতি, শক্তিসাধনা প্রভৃতিই ছিল তার কবিতার বিষয়বস্তু।বৈচিত্র্যপূর্ণ ছন্দের কবিতা লিখে তিনি ‘ছন্দের জাদুকর’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ২৫ জুন মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি মারা যান।