ঈদ আয়োজনের একাল-সেকাল

সময়ের সাথে সাথে বদলে গিয়েছে আমাদের চারপাশের অনেক কিছু। বদলেছে ঈদ উদযাপনের ধরণ।
ঈদ আয়োজনের একাল-সেকাল

বিশ্বের সব দেশে ঈদ উদযাপনের কিছু সাদৃশ্য থাকলেও দেশ, জাতি ও সময়ভেদে এ রীতিতে ভিন্নতা দেখা যায়। বাংলাদেশেও এর স্বতন্ত্র কিছু রীতি রয়েছে। তবে সেই রীতিতেও পরিবর্তন এসেছে।

আগে ঈদের দিন কিংবা তার আগের রাতে গ্রামের মহল্লায় মহল্লায় , শহরের পাড়ায় পাড়ায় আড্ডা বসতো। ঈদের ছুটিতে এই আড্ডায় মেতে ওঠা ছিল খুব সাধারণ ঘটনা। কিন্তু তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে মানুষের হাতে হাতে মোবাইল, ট্যাব। আড্ডা চলে এখন ফেইসবুকে। এ কারণে ঈদ আড্ডার চিরপরিচিত দৃশ্যও এখন আর দেখা যায় না। ঈদ আড্ডাও এখন অনেক কম।

এক মাস রোজা রাখার পর ঈদের দিন সবাই আনন্দে মেতে ওঠে। ঈদের আগের রাতেই শুরু হয়ে যায় আনন্দ। এক সময় সবাই মিলে আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখত। সেই চাঁদ দেখাটাও যেন ছিল উৎসব। অট্টালিকার  কারণে শহরে সেই সুযোগ অনেকেরই নেই। চাঁদের দেখা মিলল কিনা সেই খবর জানতে এখন আকাশে নয়, সবাই চোখ রাখে টিভিতে।

শুনেছি আগে ঈদে বিনোদনের বড় উৎস ছিল বাংলাদেশ টেলিভিশন। জনপ্রিয় শিল্পীরা বের করত নতুন অ্যালবাম। পাড়ায় পাড়ায় সেই গান বাজানো হতো। এখন ডিশ সংযোগের কারণে একসাথে অনেক চ্যানেল দেখার সুযোগ পায় দর্শকরা। আর নতুন গান এখন অ্যালবাম আকারে আসে না। প্রকাশিত হয় ইউটিউবে।

ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে এক সময় কার্ডের চল থাকলেও তা উঠে গিয়েছে। এখন শুভেচ্ছা বিনিময় হয় ফোনের ক্ষুদে বার্তা কিংবা ফেইসবুকে। ঈদ উদযাপনটা হয়ে যাচ্ছে যান্ত্রিক।

এত পরিবর্তনের পরও ঈদ এখনও সবার জীবনে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে। আগের মতো এবারের ঈদও মানুষকে সব হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে মিলেমিশে নতুন যাত্রা শুরু করার উৎসাহ যোগাবে-আমাদের এমনটাই প্রত্যাশা।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com