এ নিয়ে অনেক আক্ষেপ আমাদের। অনেক দেশেই শিশুদের জন্য দারুণ দারুণ চলচ্চিত্র বানানো হয়।
কিন্তু বাংলাদেশের শিশুরা এর থেকে বঞ্চিত। তার মাঝে পাঠশালা সিনেমাটি সে আক্ষেপ অনেকখানি কমিয়ে দিয়েছে।
"পাঠশালা" সুবিধা বঞ্চিত শিশু, তাদের জীবন, তাদের কষ্ট, শিক্ষার প্রতি আগ্রহ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
এই ছবির গল্প, চিত্রনাট্য করেছে ফয়সাল রদ্দি। ছবির পরিচালনা করেন আসিফ ইসলাম ও ফয়সাল রদ্দি।
সিনেমাটির মূল চরিত্র মানিকের চরিত্রে অভিনয় করেছে হিশাম খান সেতু।
শিক্ষা সবার জন্য। শিক্ষা নির্দিষ্ট কারো জন্য না। শেখার ইচ্ছা থাকলে পুরো দুনিয়াই একটা স্কুল, সব মানিকের জন্য স্কুল চাই এই প্রতিপাদ্য নিয়েই এ ছবি নির্মিত।
পাঠশালা ছবির ট্রেলারে দেখা যায় মানিক নামের এক শিশু অভাবের তাড়নায় বিদ্যালয় ছেড়ে গাড়ির গ্যারেজে কাজ করে। কিন্তু মানিকের ইচ্ছাশক্তি অনেক বিভিন্ন বিপত্তি পার করে পৃথিবীকেই বিদ্যালয় বানিয়ে পড়া শুরু করে।
এই অসাধারন গল্পের পুরোটা জানতে ও মানিকের পরিণতি জানতে দেখতে হবে পাঠশালা ছবিটি। মানিকের চরিত্রে অভিনয় করা সেতুর অভিনয় ছিল প্রশংসার যোগ্য। আমার ছোট মাথায় মনে হয়েছে ক্যামেরার কাজ ছিল অসাধারণ। গান এবং আবহ সংগীত চমৎকার।
এ ছবির কলাকৌশলীদের একটা উদ্যোগ খুব ভালো লেগেছে তা হলো এ সিনেমার টাকায় তৈরি হবে সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য স্কুল। এ উদ্যোগটি প্রশংসার যোগ্য।
মোটকথা শিশু কিশোরদের বিনোদনের, উদ্দীপনার, শিক্ষার প্রতি আগ্রহের জন্য অসাধারণ ছবি। এরকম শিশুতোষ ছবির কাজ অব্যাহত থাকুক। চলচ্চিত্রে শিশুদের অবদান বাড়বে যদি ভালো ভালো শিশুতোষ ছবি বা সিনেমা তৈরি করা হয়।