বাংলাদেশে এখনও এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখান থেকে হাসপাতালের দূরত্ব অনেক বেশি হওয়ায় ঝুঁকি না বুঝেই গর্ভবতী মা ঘরেই তার সন্তান জন্ম দিচ্ছেন।
কদিন আগে বান্দরবান শহর থেকে কিছুটা দূরে রোয়াংছড়ি উপজেলার একটি গ্রামে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে কয়েক জন মায়ের সঙ্গে কথা হয় আমার।
দুই মাসের এক নবজাতকের মায়ের সাথে কথা বলে জানতে পারি তার বাচ্চার জন্ম ঘরেই হয়েছে। গ্রামে যে টিকা ক্যাম্প বসে সেখান থেকে বাচ্চাকে তিনটি টিকা দিয়ে এনেছেন।
তাদের সংগে কথা বলে বুঝতে পারি এখনও তারা নানা অজ্ঞতা ও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন।
এছাড়া বাচ্চার যত্ন এবং তার সুস্থতায় করণীয় সর্ম্পকে কোনো আধুনিক ধারণা নেই তাদের। বাচ্চার জন্মের পর বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে যে টিকা দিতে হয় সেটা সম্পর্কেও জানেন না অনেকেই।
মায়েদের অজ্ঞতা ও অসচেতনতার জন্য বাচ্চা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এখানে। আমার মনে হয় এটি শুধু সেই গ্রামে নয় বাংলাদেশের অনেক গ্রামের অবস্থাই হয়তো এমন।
রোয়াংছড়ির এক গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে জানতে পারি, গ্রামে চিকিৎসার তেমন কোনো সুবিধা নেই। তাদের চিকিৎসার জন্য ১০ কিলোমিটার দূরে বান্দরবান শহরে যেতে হয়। যা অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ। তাই নদীর তীরে গড়ে ওঠা এই গ্রামের গর্ভবতী নারীসহ অন্যান্য অসুস্থ ব্যক্তিরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।
আমার মনে হয় গর্ভবতী মাকে বাচ্চার যত্ন ও পরিচর্যার বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।
মনে রাখতে হবে শুধু শহরেই চিকিৎসার উন্নতি ও বিকাশ করলে হবে না, গ্রামা ও পাহাড়ী এলাকাগুলোতেও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।