সান্তিয়াগো নামের এক বুড়ো ছিলেন। পেশায় ছিলেন জেলে। সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতেন। এতে করে কোনো মতে কেটে যেত তার জীবন। মা-বাবার বারণ সত্ত্বেও মাঝে মাঝে তার নৌকায় একটা বালকও মাছ ধরতে যেত। কারণ বুড়ো সান্তিয়াগোকে সে খুব ভালোবাসত।
বুড়ো তেমন বড় মাছ ধরতে পারত না বলে অন্য জেলেরা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করতো।
চুরাশি দিন কোনো মাছ না পেয়ে পঁচাশিতম দিনে তার ভাগ্য ফিরল। এবার তার অপয়া নামটা ঘুঁচবে আশা করা যায়।
সান্তিয়াগোর সারা জীবনের স্বপ্ন সে সবচেয়ে বড় একটা মাছ ধরবে এবং তাকে নিয়ে হাসাহাসি করা বন্ধ করবে। বালকটি তাকে সাহস দিয়ে বলত একদিন সে সফল হবেই।
একদিন বুড়ো বড় মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে বের হয়ে গেলেন একাই।
বুড়ো জানতেন গভীর সমুদ্রে বড় মাছ পাওয়া যাবে। গভীর সমুদ্রে যেতে যেতে নিজের ঠিকানা হারিয়ে ফেলেন তারপরেও তার স্বপ্ন তাকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে গভীরতর সমুদ্রে।
রাত হয়ে আসে। হঠাৎ বুড়ো লক্ষ্য করলেন, সুতায় টান পড়ছে। সেই টান কোনো ছোটো মাছের নয়।
বুড়ো মাছটার সাথে লড়াই করে যাচ্ছেন তাকে নৌকায় তোলার জন্য কিন্তু মাছ টাও তার সাথে সমানে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। মাছের সাথে শক্তিতে পেরে উঠতে তাকে ক্ষতবিক্ষত হতে হচ্ছে। মনে পড়ছে সেই বালকটার কথা। তবে হাল ছেড়ে দেননি তিনি। নৌকায় তুলতে না পেরে মাছটিকে বেঁধে পাশে পাশে ভাসিয়ে নিয়ে বাড়ির দিকে নৌকার মুখ ঘোরালেন।
তবে বিপদ এলো আরেক দিক থেকে। নৌকার সাথে বাঁধা মাছটির লোভে হাঙ্গর ধাওয়া করে। মাছ বাঁচাতে হাঙ্গরটাকে আঘাত করলে হাঙ্গরটা চলে যায় কিন্তু মাছের একটা বড় অংশ কামড়ে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর একদল হাঙ্গর তার নৌকার পাশে ঘোরাঘুরি করছে। এতগুলো হাঙ্গরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পারবেন না এই ভাবনায় বুড়ো হতাশ হয়ে চেয়ে রইলেন।
এখানেই গল্পের শেষ নয়। এই বিখ্যাত গল্পটা তোমাদের আগ্রহ জাগালে ঝটপট সংগ্রহ করে পড়ে ফেলো।