‘গুণে’র পা ৭৩’এ

কবি ও চিত্রকর নির্মলেন্দু প্রকাশ গুণ চৌধুরী। তবে নির্মলেন্দু গুণ নামেই পরিচিত তিনি। ২১ জুন কবির ৭৩তম জন্মদিন।
‘গুণে’র পা ৭৩’এ

১৯৪৫ সালের ২১জুন নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার কাশবন গ্রামে এই কবির জন্ম। বাবার নাম সুখেন্দু প্রকাশ গুণ এবং মা বীণাপাণি। তবে চার বছর বয়সেই মাকে হারান কবি। সুখেন্দু প্রকাশ দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন চারু বালাকে। 

নতুন মা চারু বালার কাছেই নির্মলেন্দুর পড়াশোনার হাতেখড়ি। পরে বারহাট্টার করোনেশন কৃষ্ণ প্রসাদ ইন্সটিটিউটে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন। স্কুল পাস করে ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। এরপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পান। কিন্তু সে সময় ঢাকায় হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়েই গ্রামে ফিরে যান।

দাঙ্গার পরিস্থিতির উন্নতি হলে ঢাকা ফিরে দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা থেকে তার নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই প্রাইভেটে স্নাতক পাস করার মাধ্যমেই তার শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি ঘটে। যদিও পরে বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পান। তবে সেখানে না পড়ে সাংবাদিকতা দিয়ে পেশাগত জীবন শুরু করেন।

লেখালেখির শুরু স্কুলজীবন থেকেই। সেই আকর্ষণেই লেখালেখিকেই সঙ্গী করে নিলেন।

নির্মলেন্দু গুণ মূলত একজন আধুনিক কবি হিসেবে সমাদৃত। বারবার তার লেখায় মূল বিষয় হিসেবে এসেছে শ্রেণিসংগ্রাম, স্বৈরাচার-বিরোধিতা, প্রেম ও নারী।

কবিতা ছাড়াও ভ্রমণ কাহিনী, গদ্য, গল্পগ্রন্থ, ছড়া, আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ, অনুবাদসহ সাহিত্যের নানান শাখায় পথ হেঁটেছেন। চিত্রশিল্পী হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছেন।

তার কাব্য হুলিয়া, অসমাপ্ত কবিতা, মানুষ (১৯৭০ প্রেমাংশুর রক্ত চাই), আফ্রিকার প্রেমের কবিতা (১৯৮৬ নিরঞ্জনের পৃথিবী) খ্যাতি কুড়িয়েছে। আর গল্পগ্রন্থ- আপন দলের মানুষ, ছড়ার বই- সোনার কুঠার (১৯৮৭), আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ- আমার ছেলেবেলা, আত্মকথা ১৯৭১ (২০০৮) অনুবাদ-রক্ত আর ফুলগুলি (১৯৮৩) উল্লেখযোগ্য। 

সাহিত্যের স্বীকৃতি হিসেবে নির্মলেন্দু পেয়েছেন নানান সম্মাননা। বাংলা একাডেমী পদক (১৯৮২), একুশে পদক (২০০১ ), স্বাধীনতা পুরস্কারও (২০১৬ ) পেয়েছেন তিনি।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com