মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতা ও হত্যাযজ্ঞের সাক্ষ্য দিচ্ছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঠাঁটমারী বধ্যভূমি।
শহীদদের স্মরণে ২০০৬ সালে এই বধ্যভূমিতে সরকারি অর্থায়নে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।
জানা যায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কুড়িগ্রামে আসে। এরপর রাজারহাট-কুড়িগ্রাম সড়কের পাশে ঠাঁটমারীতে ক্যাম্প গড়ে তোলে।
এই ক্যাম্প থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে। প্রথমেই তারা স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় সাধারণ মানুষের বাড়িঘরে আগুন দিয়ে লুটপাট চালায়।
ক্যাম্পে বাঙালিদের ধরে এনে নিযার্তনের পর গুলি চালিয়ে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এছাড়া নারীদের পাশবিক নির্যাতন করা হয়।
হত্যার পর লাশ ক্যাম্পের পাশে সেতুর নিচে পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হতো। স্থানীয়রা অগণিত লাশ ভেসে যেতে দেখলেও কোনো সঠিক তথ্য নেই। এই ক্যাম্পে ১১জন মুক্তিযোদ্ধাকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
স্থানীয় এক শিক্ষার্থী হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছিল, "আমরা গর্বিত তারা আমাদের কথা ভেবে নিজেদের প্রাণটা বিলিয়ে দিয়েছে।"
আরেক শিক্ষার্থী বলে, "মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান হচ্ছে আমাদের এই ঠাঁটমারী বধ্যভূমি।"
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: কুড়িগ্রাম।