জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রধান কারণ হচ্ছে গ্রিনহাউস গ্যাস। আর প্রকৃতিতে এই গ্যাস বৃদ্ধির জন্য মূলত মানুষের কর্মকাণ্ডকেই দায়ী করা হয়। নিজেদের প্রয়োজনে মানুষ গাছ কেটে ফেলে বনভূমি উজাড় করছে, পাহাড় নিধন করছে সেই সঙ্গে বাড়ছে কার্বন ডাই-অক্সাইড।
মানুষ শক্তি উৎপাদনে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ায়, ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন, মিথেন সহ নানা ধরনের ক্ষতিকারক গ্যাস বৃদ্ধি পায়। ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়ে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে।
জলবায়ুর এমন পরিবর্তনের কারণে সমূদ্র পৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সঙ্গে জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়ও বেড়েছে, সমুদ্রের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে, বরফ গলে যাচ্ছে ও আবহাওয়ার মৌসুমী ধারাবাহিকতা বিঘ্নিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে কৃষি ক্ষেত্রে। কৃষি নির্ভর অর্থনীতির দেশগুলোতে পড়ছে বিরূপ প্রভাব।
এছাড়াও ২০০০ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা রিপোর্টে কক্সবাজার উপকূলে বছরে ৭ দশমিক ৮ মি মি হারে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। গত চার দশকে ভোলা দ্বীপের প্রায় তিন হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা সমুদ্রের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা রিপোর্ট পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২১০০ সাল নাগাদ সাগর পৃষ্ঠের উচ্চতা আরও বেড়ে যেতে পারে, যার ফলে বাংলাদেশের অনেক অঞ্চল নিমজ্জিত হতে পারে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ও অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন, ৭০০ কোটি টাকার জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠনসহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
অপর দিকে ইউনিসেফ বাংলাদেশের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সম্ভাব্য নাজুক পরিস্থিতি সামলে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ। দুর্যোগে গতানুগতিক জরুরি ‘সাড়া ও ত্রাণ’ ভিত্তিক কার্যক্রম থেকে দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনে আরও সমন্বিত ও টেকসই কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: রংপুর।