এক নজরে পদ্মা সেতু

“সেতুতে দাঁড়ানো নিষিদ্ধ হওয়ায় গাড়িতে বসেই ভিডিও করলাম, ছবি তুললাম।”
এক নজরে পদ্মা সেতু

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই আমি অপেক্ষায় ছিলাম কবে স্বপ্নের সেতু দেখতে যাব।

গত ৩০ জুন সেই সুযোগ এলো। পদ্মা সেতু দেখার উদ্দেশ্যেই ‍আমরা ঢাকা থেকে ভাঙা পর্যন্ত যাই।

সাত মিনিটেরও কম সময়ে আমরা অতিক্রম করি সেতুটি। ফিরতে রাত হয়ে গিয়েছিল। আলো কমে আসতেই দেখি জ্বলে উঠেছে ল্যাম্পপোস্টগুলো।

মূল সেতুতে তিন শত ২৮টি এবং ভায়াডাটে ৮৭টিসহ পদ্মা সেতুতে মোট ল্যাম্পপোস্ট সংখ্যা চার শত ১৫টি। আমার বাড়ি দক্ষিণ বঙ্গে নয়, উত্তর বঙ্গে। তবুও বাংলাদেশের এ অর্জনে সত্যিই গর্ব হয় আমার।

বাংলাদেশের সবচেয়ে এবং এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খরস্রোতা নদী পদ্মা। রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের যোগাযোগের বড় বাঁধা ছিল পদ্মা নদী। অবশেষে শত বাঁধা-বিপত্তি আর গুজবকে পেছনে ফেলে স্বপ্নকে বাস্তব করে পদ্মার বুকে নির্মিত হয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট পদ্মা বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু।

গত ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি উদ্বোধন করেন। ২৬ তারিখ ভোর থেকেই যান চলাচল শুরু হয় সেতুতে।

ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ কংক্রিট ও স্টিল দ্বারা নির্মিত এই সেতুটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।

ইংরেজি ‘S’ বর্ণের আকৃতির পদ্মা বহুমুখী সেতুর উপরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে। রেলপথের কাজ এখনো চলছে।

সেতুতে দাঁড়ানো নিষিদ্ধ হওয়ায় গাড়িতে বসেই ভিডিও করলাম, ছবি তুললাম।

পদ্মা সেতু নিয়ে আমাদের গর্বের কারণ এটি নির্মিত হয়েছে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে। পদ্মা সেতুতে অংশীদারিত্ব আছে দেশের প্রতিটি মানুষের।

সাত বছর আগে ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর কাজ শুরু হওয়া সেতুটির মোট ব্যয় ৩০ হাজার এক শত ৯৩ কোটি টাকা।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com