
বাল্যবিয়েতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে অবস্থান করছে। এক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম।
এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতি চারজন কন্যা শিশুর মধ্যে একজন বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে। এই অঞ্চলে বাল্যবিয়ের পুরোপুরি অবসান হতে প্রায় ৫৫ বছর লাগতে পারে।
৩ মে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিটিতে ইউনিসেফ আরো জানায়, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে আছে সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চল। বাল্যবিয়ে পুরোপুরি রোধ করতে সেখানে ২০০ বছরের বেশি সময় লাগবে।
গত এক দশকে বাল্যবিয়ের হার ধারাবাহিকভাবে কমে এলেও জলবায়ুজনিত সমস্যা ও কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাবসহ বিভিন্ন কারণে বাল্যবিয়ে বেড়ে গেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
বাংলাদেশে ৫১ শতাংশ নারীর শৈশবে বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে প্রায় তিন কোটি ৪৫ লাখ নারীর বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর হওয়ার আগে এবং এক কোটি তিন লাখ নারীর বিয়ে হয়েছে তাদের বয়স ১৫ বছর হওয়ার আগে। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এই তথ্যের উৎস হিসেবে ২০১৯ সালের বাংলাদেশ মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভের তথ্যের কথা উল্লেখ করেছে ইউনিসেফ।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মি. শেলডন ইয়েট বলেন, “শিশুদের বিয়ে দেওয়া উচিত নয়। অগ্রগতি সত্ত্বেও বাংলাদেশে শিশুবধূর সংখ্যা বিস্ময়কর। লাখ লাখ মেয়ের শৈশব কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। মেয়েরা যাতে স্কুলে যেতে পারে তা নিশ্চিত করতে এবং তারা যাতে পরিপূর্ণভাবে নিজের মাঝে থাকা সম্ভাবনা অনুযায়ী বেড়ে উঠতে পারে সে সুযোগ দিতে আমাদের জরুরি ও সমন্বিত পদক্ষেপ দরকার।''
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল এ বিষয়ে বলেন, “বিশ্ব একের পর সংকটে জর্জরিত, যা ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের আশা ও স্বপ্নকে চুরমার করে দিচ্ছে, বিশেষ করে মেয়েদের, যাদের বিয়ের কনে হিসেবে নয় বরং শিক্ষার্থী হিসেবে থাকা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, "আমরা প্রমাণ করেছি যে বাল্যবিয়ের অবসানে অগ্রগতি সম্ভব। তবে এর জন্য বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে থাকা মেয়ে ও পরিবারগুলোর জোরালো সমর্থন প্রয়োজন। মেয়েদের স্কুলে টিকিয়ে রাখার বিষয়ে এবং তাদের অর্থনৈতিক সুযোগ নিশ্চিত করার দিকে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে।"
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: জালালপুর