‘পরিবারের চাপে ১৪ বছর বয়সেই বিয়ে হয় এই কিশোরীর। তার বর্তমান বয়স ১৮। এই বয়সেই ছয় মাসের এক মেয়ে সন্তান আছে তার।’
Published : 18 Mar 2024, 04:37 PM
সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালে বাল্যবিয়ের শিকার হয় বাগেরহাটের এক কিশোরী। এরপর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় তার ঠাঁই হয় মায়ের কাছে।
দরিদ্র মায়ের সংসারে বোঝা না হয়ে জীবিকার তাগিদে এই কিশোরী এখন একটি রেস্তোরাঁয় রান্না ও থালা বাসন ধোয়ার কাজ করে।
জানা যায়, পরিবারের চাপে ১৪ বছর বয়সেই বিয়ে হয় এই কিশোরীর। তার বর্তমান বয়স ১৮। এই বয়সেই ছয় মাসের এক মেয়ে সন্তান আছে তার।
স্বামী আবার বিয়ে করার পর শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে মায়ের কাছে চলে আসে এই কিশোরী। এরপর থেকে রেস্তরাঁয় কাজ করে নিজের ও সন্তানের খরচ বহন করছে সে।
হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সে জানায়, অল্প বয়সে সন্তানের মা হওয়ায় শারিরীকভাবেও নানা অসুস্থতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাকে। স্বামীর বিয়েও মানসিকভাবে দুর্বল করেছে তাকে।
সে বলে, “১৪ বছর বয়সে আমার বিয়ে হয়। এখন আমার বয়স ১৭ থেকে ১৮ তে পড়েছে। স্বামীর সঙ্গে সমস্যা চলছে। সন্তানকে আমার কাছে থাকে।”
অভাবে মেয়েকে বিয়ে দিতে বাধ্য হন বলে জানান তার মা।
হ্যালোকে তিনি বলেন, “আর্থিক সমস্যার কারণে বিয়ে দিয়েছি। আমি খরচ চালাতে পারছিলাম না।”
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: বাগেরহাট।