শিশুর ছয় মাস বয়স পূর্ণ হলে তাকে মায়ের দুধের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার দেওয়া শুরু করতে হবে। তাই নানা রকম শাক সবজি দিয়ে শিশুকে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ান বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের উত্তর খলিশাখালী গ্রামের মনা বেগম নামের এক নারী।
তিনি হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছিলেন, “শিশুকে মৌসুমী নানা জাতের ফল ও ফলের রস খেতে দেই। শিশুর মেধার বিকাশ ঘটাতে ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পুষ্টিকর খাবারের বিকল্প নেই।”
এই গ্রামের অনেক নারীই তার মতো প্রতিদিন নিয়ম করে তাদের সন্তানকে নানা ধরনের পুষ্টিকর খাবার দিচ্ছেন বলে জানালেন তিনি।
কচুয়া উপজেলার এই গ্রামের অর্ধশতাধিক মাকে সন্তানের পুষ্টিকর খাবারের বিষয়ে সচেতন করছে বেসরকারি একটি সংগঠন।
এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন ভ্যান বা রিকশা চালিয়ে। তবে আর্থিক সঙ্গতি না থাকলেও গ্রামটির অধিকাংশ মায়েরা নবজাতক শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতন হয়ে উঠেছেন।
লাকি বেগম নামের এক মা বলেন, “আমি খুব একটা পড়ালেখা জানি না। আমার স্বামী পেশায় ভ্যান চালক। আমার দুইটি মেয়ে সন্তান। আমার প্রথম সন্তান যখন গর্ভে আসে তখন আমি খুব একটা সচেতন ছিলাম না। প্রথম সন্তানকে আমি নিয়ম করে পুষ্টিকর খাবার দিতে পারিনি।”
জাগ্রত যুব সংঘ নামের সংগঠনটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গর্ভবতী মা ও শিশুদের পুষ্টিকর খাবারের ব্যাপারে সচেতন করে গড়ে তুলতে কাজ করছে।
মায়ের গর্ভে সন্তান ধারণ থেকে জন্ম পর্যন্ত শিশুর পরিচর্যা, পুষ্টিকর খাবারসহ নানা বিষয়ে ধারনা দেয় তারা।
জাগ্রত যুব সংঘের কচুয়া উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মনি বেগম বলেন, “এই উপজেলাতে চার হাজার ছয়শ উপকারভোগী রয়েছে। শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে আমরা দরিদ্র অবহেলিতদের সচেতন করতে কাজ করছি। গ্রামের অনেক মানুষই শিশুদের পুষ্টিকর খাবার কেন দিতে হবে তা জানেন না। তাদের সচেতন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
সুলভ মূল্যের পূষ্টিকর খাবার সম্পর্কে ধারণা দিতে ও মায়েদের সচেতন করতে মাসে মাসে তৈরি খাবার বিতরণ করছে সংগঠনটি।
এছাড়া মায়েদের স্বাবলম্বী করতে সবজির বীজ, হাঁস, ছাগলের বাচ্চা বিতরণ করাসহ সংস্থাটি নানা সচেতনতামূলক কাজ করছে বলে জানান মনি বেগম।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: বাগেরহাট।