বাবা-মায়ের যত্নের বাইরে ‘৩৪ লাখ পথশিশু’

“এই রিপোর্টে শুধু চ্যালেঞ্জগুলোই তুলে ধরা হয়নি, বরং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপায়ও বলে দেওয়া হয়েছে।”
বাবা-মায়ের যত্নের বাইরে ‘৩৪ লাখ পথশিশু’

দেশে ৩৪ লাখ শিশু পথে বাস করে, যারা বাবা-মায়ের যত্ন ছাড়াই জীবনযাপন করছে। শিক্ষা, বাসস্থানের মতো মৌলিক চাহিদার ঘাটতি আর নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকতে হচ্ছে এই শিশুদের। পথশিশুদের নিয়ে করা একটি গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের ‘চাইল্ড সেনসিটিভ সোশ্যাল প্রোটেকশন ইন বাংলাদেশ (সিএসপিবি) ২য় পর্যায়’ প্রকল্পের আওতায় গবেষণাটি পরিচালিত হয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সুইডিস ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট এজেন্সি।

সোমবার বিকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘ শিশু তহবিল– ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে গবেষণা প্রতিবেদনটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি। অন্যদের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট।

অনুষ্ঠানে দীপু মনি বলেন,  “আমাদের কোটি খানেক মধ্যবিত্ত পরিবার রয়েছে। পথশিশু রয়েছে ৩৪ লাখ। একেকটি পরিবার যদি একেকটি পথশিশুর দায়িত্ব নেয়, তাহলে এই সমস্যা থাকবে না।  সরকার এবং এনজিওগুলো কাজ করছেই, এর সঙ্গে সমাজের মানুষেরা এগিয়ে আসলে এসব শিশুদের জীবন বদলে যাবে।” 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেন, “সমাজের বিত্তশালীদেরও দান করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। সরকারের সঙ্গে এসব বিত্তশালীরা এগিয়ে আসলে পথশিশুদের সংখ্যা অনেক কমে আসবে।” 

ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, “এই রিপোর্টে শুধু চ্যালেঞ্জগুলোই তুলে ধরা হয়নি, বরং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপায়ও বলে দেওয়া হয়েছে।”

এর আগে সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি ইউনিসেফ আয়োজিত ‘অবছায়ায় ধ্বনি’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় চতুর্থ তলার গ্যালারি ৭- এ ১৮ থেকে ২৩ মার্চ এ প্রদর্শনী চলবে।

প্রতিবেদক: রাইয়ানা জান্নাত (১০), কে, এম, ইফতেশাম ইসলাম (১৩), গার্গী তনুশ্রী পাল (১৫), সারাহ আলমাস (১৬), কারিমা ফেরদৌসী কেকা (১৬), জান্নাতুল ফেরদৌস রিফা (১৬), নাহিয়ান আরাফ আইয়ান (১৭), হৈমন্তী পাল বৈশাখী (১৭), ফাইয়াজ খান অনম (১৭), ঢাকা।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com