জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর দৈনন্দিন কেনাকাটার তালিকায় থাকা প্রায় সব জিনিসের দামই ঊর্ধ্বমুখী, যা বিপাকে ফেলেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের।
এ ব্যাপারে কয়েক জনের সঙ্গে কথা হয় হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
জামাল মিয়া নামে একজন কৃষকের কথা হলে তিনি জানান, আট সদস্যের পরিবার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাকে।
তিনি বলছিলেন, "আমি দৈনিক তিন-চারশ টাকা ইনকাম করি। বাজারে যে হারে দাম বাড়তেছে সংসার চালানো খুব কষ্টকর হয়ে গেছে। আগে যে চালের কেজি ছিল ৪০ বা ৫০ টাকা সেইটা এখন ৬৫ থেকে ৭০ টাকা।"
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, "এরকম হলে কীভাবে চালাই সংসার? আর কীভাবে চালাই ছেলেমেয়েদের পড়ার খরচ?"
আকিল আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গেও কথা হয়। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তার দিনমজুর বাবাকেও।
আকিল হ্যালোকে বলেন, "বাবা দৈনিক ইনকাম করেন তিন থেকে চারশ টাকা। জিনিসপত্রের যে দাম বাড়ছে আর আমি পড়াশোনা করি। সবকিছুর খরচ দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে বাবাকে।"
বাদশা মিয়া নামে একজন রিকশা চালক বলছিলেন, "১০ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা চাইলেই মানুষ মারতে শুরু করে। এভাবে সবকিছুর দাম বাড়লে ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা করাতে পারব না।"
ক্ষুদ্র ব্যবসা করেন মকবুল মিয়া। হঠাৎ দাম বাড়ায় ক্রেতাদের সঙ্গে তাদের ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে বলে তিনি জানান।
মকবুল বলেন, "ক্রেতারা মনে করে আমরা অধিক লাভের জন্য দাম বাড়িয়ে দিয়েছি। আমাদের ছোট দোকানদারদের বিপদ। ব্যবসা করতে বেশি পুঁজি লাগে। আর দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষ কেনাকাটা করতে পারে না। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে আমরা পুঁজিশূন্য হয়ে লোকসানে পড়ব।"
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: সিলেট।