দুর্গোৎসবেও আয় কম কারিগরের (ভিডিওসহ)

গত দুই বছর মহামারির কারণে প্রতিমার তেমন দাম পাননি ঘোগাদহের কারিগর গনেশ মালাকর। আশায় ছিলেন এবার কিছুটা আয় হবে।

মহামারির প্রভাবে দুই বছর দুর্গাপূজায় আয় কম হওয়ায় এবার তা পুষিয়ে নেওয়ার আশা থাকলেও তা পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রতিমা কারিগররা।

কুড়িগ্রাম জেলা শহরের বেশ কয়েকটি পাল পাড়া আর কুমার পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, দুর্গোৎসবকে ঘিরে প্রতিমা কারিগররা পার করছেন ব্যস্ত সময়।

কারিগররা জানান, একেক জন কারিগর আট থেকে ১২টি করে প্রতিমার অর্ডার নিয়েছেন। মহামারির আগের বছরগুলোতে একেক জন ১৬ থেকে ২০টি করে অর্ডার পেতেন।

জেলার রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের বৈদ্যের-বাজার এলাকার প্রতিমা কারিগর তপন চন্দ্র মালাকার বলেন, “বাপ-দাদার পেশা আঁকড়ে ধরে আছি। মৃৎশিল্পীদের কেউ খোঁজ খবর নেয় না। প্রতি বছর দুর্গা উৎসব এলে কয়টা টাকার মুখ দেখি। এ বছর নয়টি প্রতিমা তৈরি করছি।”

গত দুই বছর মহামারির কারণে প্রতিমার তেমন দাম পাননি ঘোগাদহের কারিগর গনেশ মালাকর। আশায় ছিলেন এবার কিছুটা আয় হবে।

তিনি বলেন, “এবছর জিনিসপত্রের দাম বেশি, অর্ডারও কম পেয়েছি।”

বৈদ্যের-বাজার এলাকার প্রতিমা কারিগর তপন চন্দ্র মালাকার বলেন, “বাপ-দাদার পেশা আঁকড়ে ধরে আছি। পুজো শুরু হবার দুই মাস আগে থেকে আমরা প্রতিমা তৈরি করছি। এখন মন্দিরে মন্দিরে প্রতিমা পাঠাব। খুব ব্যস্ততা যাচ্ছে।”

খড়িবাড়ি থেকে প্রতিমা কিনতে আসা ক্রেতা সুবাস চন্দ্র বলেন, “সামনে দূর্গাপূজা। প্রতিমা নিতে এসে খুব ভালো লাগছে।”

কুড়িগ্রাম পূজা উদযাপন পরিষদের দেওয়া তথ্য মতে, জেলায় এবার ৫১৪টি পূজা মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয়া দুর্গোৎসব। যা গত বছরের চেয়ে ৬০টি কম। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম সদরে ৭২টি, উলিপুরে ১১৮টি, চিলমারীতে ৩২টি, রৌমারীতে ৮টি, রাজিবপুরে ১টি, নাগেশ্বরীতে ৯০টি, ভূরুঙ্গামারীতে ১৮টি, ফুলবাড়িতে ৬৩টি ও রাজারহাটে ১১২টি।

প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: কুড়িগ্রাম।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com