মা ও প্রতিবন্ধী ভাইয়ের সঙ্গে সাতক্ষীরায় থাকে সে।
Published : 12 Jun 2023, 07:07 PM
১২ জুন পালন করা হয় বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। বছর বছর দিবস আসলেও অনেক শিশুর ভাগ্যেই আসে না সুদিন।
সাতক্ষীরার ১২ বছর বয়সী আশরাফুল গাজীর গল্পটাও অনেকটা এরকমই। দারিদ্রের কাছে হেরে প্রাথমিকেই গুটিয়ে ফেলতে হয়েছে তার পড়াশোনা। এখন শ্রমিক হিসেবে কাজ করে সে।
জেলার আশাশুনি উপজেলার কাপসন্ডা গ্রামে মা ও প্রতিবন্ধী ভাইয়ের সঙ্গে থাকে আশরাফুল।
নিজের পরিবার সম্পর্কে বলতে গিয়ে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সে বলে, “জন্মের পর থেকে চার থেকে পাঁচবার বাবাকে দেখছি। মায়ের মুখে শুনছি জন্মের তিন মাস আগে বাবা অন্য একজনকে বিয়ে করে খুলনাতে থাকে।”
বাবার অনুপস্থিতি আর গৃহকর্মী মায়ের আয়ে চলছিল না তাদের পরিবার। তাই সাত বছর বয়সেই আশরাফুল একটি ইটভাটায় কাজ শুরু করে। কিন্তু বার বার নির্যাতনের শিকার হলে সেই কাজ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় সে। এখন সে একটি মুরগির খামার ও মাছের ঘেরে কাজ করে।
আশরাফুল বলছিল, “যখন ভাটার সিজন আসে আমি তখন ভাটায় যাই। ভাটার সিজন শেষ হয়ে গেলে মাছের ঘেরে, তারপর পোল্ট্রি ফার্মে থাকি। যাদের ঘেরে থাকি তারা খুব অল্প বেতন দেয়। এজন্য সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।”
আশরাফুলের মা হ্যালোকে বলেন, “এই কাজ কাম টাম করি আমরা। লোকের বাড়ি খাইটে খাওয়াই। খুব অভাবে দিন যায়। ছোট মানুষ পাইরে ওঠে না।”
শিশু আশরাফুলের প্রসঙ্গে কথা হয় খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমের সঙ্গে।
তিনি হ্যালোকে বলেন, “আমরা এইটা খোঁজ নিয়ে দেখছি এবং তার পরিবারকেও বলছি শিশুশ্রমে না দিয়ে তাকে লেখাপড়ার জন্য যা যা দরকার আমার ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তা ব্যবস্থা করা হবে।”
প্রতিবেদকের বয়স: ১১। জেলা: সাতক্ষীরা।