'অভাব ও কুসংস্কারের কারণেই সে সময় বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছেন বলে মনে করেন তিনি।'
Published : 27 Mar 2024, 11:51 AM
পনের বছর বয়সে বাল্যবিয়ের শিকার হোন বাগেরহাট সদরের গোবরদিয়া গ্রামের এক নারী। বাল্যবিয়ের কুফল না জানার কারণে বিয়েতে সম্মতি দেওয়া এই নারী এখন বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছেন।
অভাব ও কুসংস্কারের কারণেই সে সময় বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছেন বলে মনে করেন তিনি।
১৭ বছর বয়সে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর থেকে তিনি নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।
এ প্রসঙ্গে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন “আমি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম যে পরিবারের সবাই ভয় পেয়ে গিয়েছিল।”
পড়াশোনা করে সেবিকা হতে চেয়েছিলেন তিনি। বাল্যবিয়ের কারণে তার এই স্বপ্ন ভেঙে যায়। এসএসসির পরই থেমে যায় তার পড়াশোনা।
অল্প বয়সে বিয়ের কারণে পরিবার ও সংসার বুঝে উঠতে পারেননি। তাই প্রায়ই বিভিন্ন পারিবারিক সমস্যার সম্মুখীন হতেন।
হ্যালোকে তিনি বলছিলেন, “বাল্যবিবাহ একটি অভিশাপ যা একজন নারীর ইচ্ছে ডানা কেটে ফেলে।”
বর্তমানে বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন এই নারী। তিনি তার আশেপাশে যেসব পরিবারে মেয়ে সন্তান আছে তাদের বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বোঝান।
তার এই ভূমিকার কারণে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন মেয়ে শিশু বাল্যবিয়ে থেকে মুক্তি পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: বাগেরহাট।