গণসচেতনতাই বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে পারে বলে মনে করেন এক চিকিৎসক। বাল্যবিয়ের ঝুঁকি নিয়ে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় অর্পিতা ইমু নামের এক চিকিৎসক এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, "বর্তমানে আমাদের দেশে ১০-১৯ বছর বয়সী প্রায় দুই তৃতীয়াংশ মেয়েরাই শিশুবিবাহের শিকার হয়। শিশুবিবাহের ফলে প্রথমত শিশু অধিকার আইন ক্ষুণ্ন হচ্ছে, এছাড়া শিশুরা শিক্ষার অধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া দেখা যায় খুব অল্প বয়সে একটি মেয়েকে যখন একটি বয়স্ক পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয় তখন অল্প বয়সেই মেয়েটি বিধবাও হতে পারে, যার ফলে সমাজ ও পরিবার তাকে মেনে নিতে চায় না। শিশুবিবাহের ফলে সমাজে যৌতুক প্রথাও বেড়ে চলেছে, এছাড়া সমাজে বিচ্ছেদ ও এমনকি শিশুদের মৃত্যুর ঘটনাও প্রায়ই ঘটে।"
তিনি আর বলেন, "শিশুবিবাহ প্রতিরোধ করতে হলে আমাদের সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সোচ্চার হতে হবে। শিশু অধিকার আইন যেন লঙ্ঘন না হয় সে ব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে, কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শিশুবিবাহ রোধে আইনের সর্বোত্তম সহযোগিতা এবং আমাদের সচেতনতাই পারে শিশুদেরকে শিশুবিবাহের হাত থেকে রক্ষা করতে।"
প্রতিবেদকের বয়স ১৫। জেলা: খুলনা।