নেত্রকোণার হাওরাঞ্চল মোহনগঞ্জে ধামাইল উৎসব হয়েছে।
'শ্যামকালিয়া বাঁশী' নামের একটি সংগঠনের আয়োজনে বল্লভপুর গ্রামের মন্দির প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এই উৎসব হয়। জেলার ১৫টি ধামাইল দল এই উৎসবে অংশ নেয়।
নতুন প্রজন্মের অনেকেই গানের এই উৎসব দেখতে আসে। শিশু-কিশোর ও তরুণরা জানিয়েছে ধামাইল গান দেখে তারা মুগ্ধ।
আয়োজকরা জানান, হারাতে বসা ধামাইল গানকে আবারো হাওরের জনপদে ছড়িয়ে দিতে তাদের এই উদ্যোগ।
তনুশ্রী দাস নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলে, "ধামাইল গান হবে শুনে দেখতে এসেছি। দেখলাম। ভাল লেগেছে। এ ধরনের উৎসব এই প্রথম দেখলাম।"
আগামীতে আরো বড় পরিসরে আয়োজন ও ধামাইল গানকে বাঁচিয়ে রাখতে উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
ধামাইল উৎসব আয়োজন করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শিল্পীরা।
শিখা দে নামে এক ধামাইল শিল্পী 'হ্যালো'কে বলেন, "মায়ের কাছ থেকে শিখেছি ধামাইল গান। কিন্তু এতদিন গাইনি। আজ উৎসবে এসে আমাদের সাত জনের দল ধামাইল পরিবেশন করেছি।"
মন্টি সরকার নামে এক শিল্পী বলেন, "আজ এখানে গান করতে পেরে দারুণ আনন্দ লাগতাছে।"
শ্যামকালিয়া বাঁশী সংগঠনের সভাপতি রনেন সরকার 'হ্যালো'কে বলেন, "হাওরাঞ্চলে বিয়ে, শ্বশুরালয়ে জামাইয়ের আগমনসহ মাঙ্গলিক সব অনুষ্ঠান মাতিয়ে রাখত নারীদের নাচের তালে তালে গাওয়া ধামাইল গান। এভাবেই হাওর সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে ওঠে ধামাইল। সময়ের আবর্তনে এখন আর তা দেখা যায় না।"
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: নেত্রকোণা।