“আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে জমি চাষ করা অর্থ ও সময় সাশ্রয়ী। তাই কৃষকরা উন্নত প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছেন।”
Published : 12 Mar 2024, 03:30 PM
আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় হালচাষে গরু-মহিষের ব্যবহার কমেছে নীলফামারীতে। কৃষকরা এখন আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে জমি চাষ করছেন।
জেলার ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে জমি চাষ করা অর্থ ও সময় সাশ্রয়ী। তাই কৃষকরা উন্নত প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছেন।”
পাওয়ার টিলার ও আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে জমি চাষে সুফল পাওয়া যায় বলেও জানান এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “জমি আবাদ করার সময় মাটির ছয় ইঞ্চি গভীর পর্যন্ত আলগা করতে হয়। পাওয়ার টিলার মাটির ছয় ইঞ্চি পর্যন্তই আলগা করে। পশু দিয়ে হালচাষে অনেক সময় ছয় ইঞ্চির বেশি গভীর পর্যন্ত মাটি আলগা হয়। এতে চাষাবাদে সমস্যা হয়।”
কৃষকরা জানান, ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দিয়ে অল্প সময়ে তারা জমি চাষ করতে পারছেন।
জব্বার আলী নামের ডোমার উপজেলার সোনারায় গ্রামের এক কৃষক হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই দেখেছি বাপ-দাদারা ভোরেই কাঁধে লাঙল-জোয়াল,মই গরু নিয়ে মাঠে যেত হাল চাষের জন্য। এখন গরু ও লাঙল দিয়ে হাল চাষ হারিয়ে যাচ্ছে।”
কৃষক মনসুর আলী বলেন, “কম সময়ে বেশি জমিতে চাষ দিতে সক্ষম হওয়ায় জমির মালিকরা পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করে নিচ্ছেন। অথচ এক সময় গরুই হাল চাষের একমাত্র মাধ্যম ছিল।”
আগে যারা গরু, মহিষ দিয়ে অন্য কৃষকদের জমি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তারা এখন বেকার হয়ে ভিন্ন পেশার দিকে ঝুঁকছেন বলে জানালেন কৃষকেরা।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: নীলফামারী।