বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে বাগেরহাটে দখলকৃত নদী উদ্ধারের দাবিতে মোংলা ও পশুর নদীর বঙ্গবন্ধু ক্যানেলে কাগজের তৈরি নৌকা ভাসিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
রোববার সকালে মোংলা উপজেলার মামার ঘাট এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন ও কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে ’আমাদের জনজীবনে নৌপথ’- এই ধ্বনি দিয়ে একটি শোভাযাত্রা করা হয়। এ শোভাযাত্রায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার কয়েক’শ মানুষ অংশ নেন।
শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মামার ঘাটে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় দখল হয়ে যাওয়া নদী ও খাল উদ্ধার, পূন:খনন এবং দূষণরোধে এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
আলোচনা সভায় পরিবেশ আন্দোলনের মোংলা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মো. নূর আলম শেখ বলেন, দূষণ-দখল-অপরিকল্পিত শিল্পায়ন-আবাসন-সেতু-কালভার্ট এবং নদীতে জাহাজডুবি, জাহাজী বর্জ্য নিক্ষেপ, অপরিকল্পিত চিংড়ি ঘের ও ট্যুরিস্টদের অসচেতনতার কারণে সুন্দরবন অঞ্চলের নদ-নদীগুলো হুমকির মূখে পড়েছে।
“উচ্চ আদালত বলেছে নদী একটি জীবন্ত সত্তা। তাই নদী-খালকে যারা হত্যা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ক্ষমতার প্রভাবে মানুষ নদী দখল করছে। নদী আমাদের জনজীবনের সাথে সম্পৃক্ত।”
বক্তব্যে নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান এই নেতা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, “মোংলা উপজেলায় ৫৫টি প্রবাহমান রেকর্ডীয় সরকারি নদী খাল রয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশ বেদখল হয়ে রয়েছে। আমরা তালিকা ধরে তা দখলমুক্ত করার জন্য উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি। আমরা খুব শিগগির তা উদ্ধার করতে পারব। ”
এই নদীখালগুলো দখলমুক্ত হলে এলাকায় বর্ষা মৌসুমে যে জলাবদ্ধতা হয় তা দূর হবে বলে তিনি মনে করেন।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুস আলী শেখ, জালিবোট সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, দি হাঙ্গার প্রোজেক্ট বাংলাদেশ'র মনিটরিং অফিসার কাজী ফাতেমা বর্ণালী, ট্যুরিস্ট লঞ্চ এ্যাসোসিয়েশনের মো. এমাদুল, মাঝিমাল্লা সমিতির মো. হাসেম।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: বাগেরহাট।