নবম শ্রেণির বিজ্ঞানের বই-এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচিত না হওয়ায় ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। পুরনো বইয়ের সহায়তা নিয়ে পড়তে হচ্ছে তাদের।
Published : 16 Aug 2015, 02:17 PM
পুরনো বইয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের পৃষ্ঠা ছিল ৪৩২ আর সেটা কমিয়ে এখন ২৪০ করা হয়েছে। এছাড়া রসায়নের ৩০৪ পৃষ্ঠাকে ২০৮ এবং জীববিজ্ঞান বইয়ের ৩৫৫ পৃষ্ঠাকে ২০০ পৃষ্ঠা করা হয়েছে।
বিয়াম মডেল স্কুলের দশম শ্রেণির মাহির বলে, "বছরের শুরুতে নতুন বই হাতে নিয়ে ভেবেছিলাম বই তো এখন ছোটো হয়ে গেছে। অল্প পড়লেই হয়ে যাবে।" কিন্তু এখন চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন বলে জানায় ও।
"তাই এই বিষয়গুলোকে ভালোভাবে বুঝতে পুরনো বই পড়তে হয়।
"অ্যাভোগ্রেডো নম্বর নিয়ে কী লিখেছে কিছুই তো বুঝিনি। এরকম আরও অনেক টপিক আছে। পুরানো বই পড়েই শেষে বুঝতে হল।"
একই স্কুলের তন্বী জানায়, বিজ্ঞানের বিষয়গুলো খুব কঠিন। ঠিকমতো জানতে হলে বিস্তারিত পড়তে হয়। বিস্তারিত বোঝার জন্য পুরনো বই পড়তে হচ্ছে।
অনুশীলনের জন্য উদাহরণে খুবই কম গণিত কষে দেয়া থাকে বলে পরীক্ষায় অঙ্ক একটু ঘুরিয়ে দিলেই বুঝতে পারে না বলে জানায়, দশম শ্রেণির রায়া ও সৌরভ।
এ ব্যাপারে বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক ইমাম হোসেইন বলেন, “পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বা গণিত সববিষয় বুঝতে হলে গভীর আলোচনা দরকার।
"ঠিকমতো জানতে না পারলে এগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয় না।"
এই ব্যাপারে আ ফ ম হাসান নামের এক অভিভাবক জানান, তিনি পুরনো বই সংগ্রহ করে দিয়েছেন তার বাচ্চাকে।
"বইয়ে কী থাকবে আর কী থাকবে না তা নির্ধারণ করার জন্য এনসিটিবির অভিজ্ঞ প্যানেল আছে। তারা ভালোর জন্য এসব সিদ্ধান্ত নেন।
"তবে এখন পর্যন্ত ভালো কিছু শুনলাম না। বাচ্চাদের মুখে শুধু সমস্যার কথাই শুনছি।"