উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রাজশাহীতে থামছে না পুকুর ভরাট। একের পর এক পুকুর ভরাট করে তৈরি করা হচ্ছে বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবন।
Published : 16 Feb 2015, 12:25 PM
নগরীর সব পুকুর ভরাট হয়ে যাওয়ায় পরিবেশের ওপর বাজে প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন নগরীর অনেক বাসিন্দা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বাসিন্দা বলেন, ২০১০ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সব ধরণের পুকুর, জলাশয় ও খাল ভরাট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে হাইকোর্ট। কিন্তু এই নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রভাবশালীরা পুকুরভরাট করেই যাচ্ছেন।
সিটি কর্পোরেশনের অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল জানান, উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজের সমন্বয় না থাকায় এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। তবে নগরীর প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় বেশ কিছু পুকুর সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) এবং সিটি কর্পোরেশনের তথ্য মতে, ১৯৬১ সালে রাজশাহী নগরীতে ছোটবড় পুকুর, দিঘি ও জলাশয় ছিল চার হাজার ২৮৩টি। ১৯৮১ সালে এই সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসে দাঁড়ায় দুই হাজার ২৭১টিতে। আর বর্তমান এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ২১৪টিতে।