সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত পাঁচ বছরের শিশু নয়মী ঋষির সুস্থতার আশায় গর্তে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন তার বাবা-মা।
Published : 06 Apr 2014, 03:39 PM
ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী জেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের রতন ঋষি ও অঞ্জনা ঋষির মেয়ে নয়মীর বেলায়।
জন্মের পর থেকেই মেয়েটি দাঁড়াতে, হাঁটতে এমনকি কথা বলতেও পারে না।
নীলফামারী সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. দিলীপ কুমার রায় জানান, শিশুটি সেরিব্রাল পালসি রোগে আক্রান্ত।
“জন্মের সময় বা পরে কোনো আঘাতে শিশুটি প্রতিবন্ধী হয়ে থাকে।”
নয়মীর মা জানান, জন্মের এক বছর পর নয়মীর এ অবস্থা ধরা পড়ে।
তার খারাপ বাতাসের দোষ লেগেছে বলে তাদের জানিয়েছেন কবিরাজ। তার পরামর্শে দোষ কাটাতে ঝাড়ফুঁক, তেলপড়া, পানিপড়া থেকে শুরু করে জোড়া পাঁঠা বলি, ২৫ দেবতার পুজাসহ সবই করেছেন বলে জানান নয়মীর মা।
তিনি বলেন, “কিন্তু মেয়ের অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।”
কবিরাজের পেছনের টাকা খরচ করে নিঃস্ব হয়ে পড়ায় তাদের প্রথম সন্তান নয়মীকে সুস্থ করতে নয়মীর মা নিজেই উদ্ভাবন করেছেন এক পন্থা।
মাটির গর্তে সারাদিন দাঁড় করিয়ে রাখছেন মেয়েকে তিনি।
তবে চিকিৎসকের পরামর্শ- ফিজিও থেরাপি দিলে পুরোপুরি সেরে না উঠলেও মেয়েটি অনেকটাই ভালো হতে পারে।