সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিলন্দা গ্রামে নানীর সঙ্গে বসবাস করে কিশোরী রোজিনা।
তিন বছর বয়সে মা মারা যায় তার। বাবাও দ্বিতীয় বিয়ে করে চলে যান। নয় মাস বয়সে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হারিয়ে ফেলে চোখের দৃষ্টি।
শিক্ষার প্রতি আগ্রহ থাকলেও বাড়ির কাছে আশেপাশে দৃষ্টি প্রতিবন্ধি স্কুল না থাকায় অধরাই থেকে যাচ্ছে তার স্বপ্ন।
সমাজে দৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা থাকলেও তাকে সে স্কুল অব্দি নেওয়ার কেউ নেই বলে জানাল সে।
রোজিনা হ্যালোকে বলে, “ইচ্ছা করে পড়তে, দুই জায়গায় প্রাইভেট পড়ছিলাম। স্কুলে পড়তে পারি নাই।”
রোজিনার নানী সামোরথা হ্যালোকে বলেন, “প্রতিবন্ধী স্কুল ওরে নেয় না। অনেক বার দিবার চাইছিলাম। লোক রাইখা পড়াইছিলাম, কিন্তু স্কুলে না পড়লে তো আর অয় না। আমাগোর তো টাকাও নাই। অনেক কষ্টে চলি।”
রোজিনার এক প্রতিবেশি হ্যালোকে বলেন, “আশেপাশের অনেক বাচ্চারা খেলাধুলা করে, রোজিনার ইচ্ছা থাকলে করতে পারে না। আসেপাশের কোনো প্রতিবন্ধী স্কুল যদি তাকে ভর্তি করায় তাহলে তার পরিবার তাকে ভর্তি করাবে। সরকার যদি তার দিকে দৃষ্টি দিত তাহলে জ্ঞানের আলোটা সে পাইতো।”