পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে এসএসসির পর আর পড়াশোনা হয়নি লালমনিরহাট জেলার তরুণ দুলালের। তাই বাবার সাথে ফসলের মাঠে কাজ করতে হয় সবে মাত্র ১৮ পেরোনো এই তরুণকে।
Published : 21 Dec 2021, 11:57 PM
অজ পাড়াগাঁয়ের বেড়ে ওঠা দুলাল পরিবারের তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সবচেয়ে বড়। তিনি স্বপ্ন দেখেন একমাত্র ছোট বোনকে পড়াশোনা করিয়ে প্রতিষ্ঠিত করবেন।
কিন্তু অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তার ছোট বোনের বিয়ের বন্দোবস্ত করে তার বাবা। এ সময় বেঁকে দাঁড়ান দুলাল। মেয়েদের বাল্যবিয়ের ক্ষতি ও এর করুণ পরিণতির কথা তার বাবাকে বোঝাতে থাকেন। কিন্তু তার বাবা নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করেন।
দুলাল বলেন, "এসময় উপায় না পেয়ে বিয়ের দিন পাশের বাজারের দোকানের টেলিভিশনে দেখা জাতীয় তথ্য সেবার হটলাইন নাম্বার ৯৯৯ কল দিয়ে নিজের বোনের বাল্যবিয়ের কথা জানাই এবং সাহায্য চাই। সেখান থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহায়তায় বোনের বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হই।"
তবে শেষ রক্ষা হয়নি। প্রাথমিকভাবে বোনের বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হলেও পরবর্তীতে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় দুলালের বাবা গোপনে বিয়ে দিয়ে দেন বলে দুলাল অভিযোগ করেন।
দুলাল বলেন, "প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চল গুলোতে বাল্যবিয়ে পুরোপুরি প্রতিরোধ করতে গেলে জন প্রতিনিধিদের চাপ প্রয়োগ করতে হবে। সবার আগে তাদের সচেতনতা জরুরি।”