বাগেরহাটে বাল্যবিয়ে বন্ধ করছে কিশোর-কিশোরী ক্লাব
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে এই ক্লাবগুলো দেশ জুড়ে পরিচালিত হচ্ছে। বাগেরহাটের চিতলমারীর সাতটি ইউনিয়নের প্রতিটিতেই এই ক্লাব রয়েছে।
সরকারি তথ্য মতে, মহামারির ১৮ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় এই উপজেলায় চারশ সাতটি বাল্যবিয়ে হয়েছে। কিন্তু কিশোর-কিশোরী ক্লাবের কোনো সদস্যের বিয়ে হয়নি। তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখছে।
ক্লাবের জেন্ডার প্রমোটর নাহিদা ইয়াসমিন বলেন, "গত এক সপ্তাহে তিনটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছি। এই কাজে সবার এগিয়ে আসা উচিত। কিশোরী কিশোরীরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের সুরক্ষিত রাখতে পারলে আমাদের ভবিষ্যত ভালো হবে।"
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, "কিশোর কিশোরী ক্লাব বাল্যবিয়ে প্রতিরোধসহ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে চমৎকার ভূমিকা রাখছে। আমার তত্ত্বাবধায়নে সাতটি ক্লাব রয়েছে। প্রতিটি ক্লাবে ৩০ জন করে মোট ২১০ জন সদস্য। তারা অন্যান্যদের চেয়ে অগ্রগামী। করোনাকালে তাদের কারো বিয়ে হয়নি।"