তাকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়ে নেদারল্যান্ডস সরকারের পিস রাইটস কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। এ পুরস্কারটি ‘শিশুদের নোবেল’ হিসেবেও পরিচিত।
১৬ বছর বয়সী প্রিয়াংকা সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
শিশু সাংবাদিকতায় বিশ্বের প্রথম বাংলা সাইট হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে ২০১৭ সালের শেষ দিকে কাজ শুরু করে সে।
প্রিয়াঙ্কা হ্যালোকে বলে, “আমার লেখালেখির হাতেখড়ি হয় হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের মাধ্যমে। এখানে আমি শিশুদের অধিকার নিয়ে লেখালেখি করি। এরপর থেকে শিশুদের হয়ে কথা বলছি।”
লিঙ্গ বৈষম্যের পাশাপাশি, শিশু অধিকার, বাল্য বিবাহসহ নানা বিষয় উঠে এসেছে তার লেখায়।
বাল্যবিয়ে ও লিঙ্গ বৈষম্যের মতো সামাজিক ব্যধিকে মোকাবেলা করার আহ্বান জানায়।
প্রিয়াংকা বলে, “লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে আমি আমার জায়গা থেকে কাজ করে যাচ্ছি এবং ভবিষতেও যাবো। লিঙ্গ বৈষম্যের পাশাপাশি নারী ও শিশুর অধিকার আদায়ে সবাই মিলে কাজ করতে হবে।”
সব সময় মেয়েকে সমর্থন করা পরিবার তার এ সাফল্যে খুশি। প্রিয়াংকা ভদ্রের মা রিক্তা রানী সরকার হ্যালোকে বলেন, “ আমার মেয়ে মনোনীত হয়েছে এটা শুনে আমি খুবই আনন্দিত। প্রথমে আমি এ বিষয়টার কিছুই বুঝতে পারি নাই।
“সবাই ফোন করে বলল আপনার মেয়ে মনোনীত হয়েছে, তারপর এটা শুনে খুবই আনন্দিত হয়েছি।”
এ সময় শিশুদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন সামাজিক কাজ করতে হবে।”
বাংলাদেশ ন্যাশনাল চাইল্ড পার্লামেন্ট (বিএনসিপি) এবং ন্যাশনাল চাইল্ড টাস্ক ফোর্সের (এনসিটিএফ) হয়েও কাজ করছে সে। প্রিয়াংকা সিরাজগঞ্জ থেকে প্রকাশিত শিশু বার্তার সঙ্গেও যুক্ত রয়েছে।