মহামারি পরিস্থিতিতে রোজগারের জন্য কাজে নেমেছে ১৪ বছর বয়সী শিশু রায়হান।
Published : 29 Jun 2021, 07:21 PM
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে। মাস খানেক আগে কাজে নেমেছে সে। তার গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা, থাকে রাজধানীর সায়েদাবাদে।
ঢাকার বিভিন্ন অলি-গলি ঘুরে চুল সংগ্রহ করে সে। দরিদ্র কৃষক বাবা সংসারের ব্যয় মেটাতে পারছেন না বলে ঢাকা আসতে হয়েছে তাকে। প্রতিদিন হেঁটে তার আয় হয় দেড়শ থেকে দুইশ টাকা।
রায়হান হ্যালোকে বলে, “আমার বাসা সায়েদাবাদ, তবে সব জায়গায় যাইতে হয়, ঠিক নেই। মানুষের চুল সংগ্রহ করি, পুরান ভাঙাচোরা মোবাইল নিয়ে খেলনা দেই। আবার টাকাতেও বিক্রি করি। বাপে কৃষক, খরচ চালাইতে পারে না, তাই কামাইতে নামা লাগছে।”
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ এক প্রতিবেদনে বলেছে, কোভিড-১৯ সংকটের ফলে লাখ লাখ শিশুকে শ্রমে ঠেলে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যা গত ২০ বছরের অগ্রগতির পর প্রথম শিশু শ্রম বাড়িয়ে দিতে পারে।