চুয়াডাঙ্গা শহরে তার সাথে আমার কথা হয়। চুয়াডাঙ্গা রেল বস্তিতেই থাকে ওরা। মা আম্বিয়া খাতুন প্রতিবন্ধী। তার বাবা আক্তার বিশ্বাস গ্রামগঞ্জে ফেরি করে বাদাম বিক্রি করতেন। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় তিনিও এখন পঙ্গুত্বের শিকার।
হুইলচেয়ারে মা আর তার কোলে ছোট ভাইকে বসিয়ে রোজই ভিক্ষা করতে বের হয় সে। চার সদস্যের সংসারে উপার্জনক্ষম এখন সে একাই।
আম্বিয়া খাতুন হ্যালোকে বলেন, "স্বামীকে নিয়ে ১০ মাস আগে চুয়াডাঙ্গায় আসি। রেল বস্তিতে ১২০০ টাকা ভাড়ায় একটি ঘরে থাকি। স্বামী শহরের বিভিন্ন স্থানে ফেরি করে বাদাম বিক্রি করতেন। কিন্তু চার মাস আগে সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হন তিনিও। তাই বাধ্য হয়ে আমি আমার দুই সন্তানকে নিয়ে রোজগারের আশায় বেরিয়ে পড়ি।"
দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা রোজগার হয় বলে জানায় রহমান। মায়ের ওষুধ কেনার টাকাও হয় না এই আয় দিয়ে।
রহমানের মা আরও বলেন, "আমার বড় ছেলে আমার কাজে সব সময় সাহায্য করে। রান্নাবান্নার কাজ থেকে শুরু করে ঘরের কাজ পর্যন্ত।"