লিটল সিটিজেন্স ফর ক্লাইমেট নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে সহযোগী আয়োজক ছিল ইয়ুথনেট, মাদক শূন্য বাংলাদেশ ও ইয়ুথ ফোরাম ফর জাস্টিস নামের আরো তিনটি সংগঠন।
লকডাউনে বাসায় বসে ফেলে দেয়া জিনিস দিয়ে নতুন কিছু তৈরির ভিডিও পাঠিয়ে ২৫ জন কিশোর কিশোরী অংশ নিয়েছে এ প্রতিযোগিতায়।
ফেলে দেয়া প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে ফেইস শিল্ড, টুকরো কাপড় দিয়ে পরিবেশ বান্ধব কাপড়ের মাস্ক, প্লাস্টিক বোতলের কলমদানি, ব্রাশ হোল্ডার, বাড়িতে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে টিপিট্যাপ, শোপিস ইত্যাদি বানিয়েছে তারা।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সেরা ছয় জনকে বাছাই করে বিজয়ী নির্বাচন করা হয়। বিজয়ীরা হলো, মো. জোবায়ের, মোসা. রিপা, সাহাত বিন সাজ্জাদ, সারিয়া তাসনিন অবণি, মোসা. রিপা ও মো. ফরমান আলী।
ক্রিয়েটিভিটি চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় ভার্চুয়ালি অতিথি ছিলেন ব্রুনাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা।
তিনি বলেন, "প্রকৃত বন্ধু হয়ে আমাদেরকে প্রকৃতি ও পরিবেশের কথা ভাবতে হবে। আমাদের প্রাত্যহিক কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন আনতে হবে যেগুলো পরিবেশকে সুন্দর রাখবে।
"যেমন বাজারে করতে গেলে ব্যাগ নিয়ে যাওয়া, যতটা কম বর্জ্য তৈরি হয় সেদিকে খেয়াল রাখা, মাস্কের পুনঃব্যবহার করা। এই রকম ছোট ছোট কাজ।"
এছাড়াও অন্যদের মধ্যে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান ও অন্যান্য যুব জলবায়ুকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মালিহা নামের একজন অংশগ্রহণকারী বলে, "করোনার এই সময়টাতে বাসায় তো বসেই ছিলাম। টপিকটা খুবই পছন্দের ছিল আগ্রহের সাথে অংশ নিলাম।"
জোবায়ের নামের একজন কিশোর বলে, "করোনা সুরক্ষায় প্লাস্টিক বোতল কেটে ফেইস শিল্ড বানিয়েছি। এটা সার্জিক্যাল মাস্কের চেয়েও কার্যকরী। আমরা চাইলে বাসায় বসেই এটা তৈরি করে নিতে পারি।"
এলসিএফসি বাংলাদেশের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর সানভীর হোসেন বলএন, "এই সময়টাতে এ প্রতিযোগিতা কিশোর কিশোরীদের প্রাণবন্ত করেছে। আমরা চাইলে নিজ নিজ বাড়িতে এরকম ছোট ছোট কাজের মাধমে পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অবদান রাখতে পারি।"