নিজেকে নিরাপদের রাখার চিন্তা থেকে যখন অনেক মানুষই বাইরে বের হচ্ছে কম, কিংবা সীমিত পরিসরে অফিস করছে তখন এইসব খেটে খাওয়া মানুষেরা স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে পেটের দায়ে ছুটে চলছে এখান থেকে সেখানে।
এমনই একজন ব্যক্তি আনোয়ারুল। পেশায় ভ্যানচালক। স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে থাকেন তিনি।
দিন এনে দিন খাওয়া আনোয়ারুল একদিন কাজ না করলে পুরো পরিবারকে না খেয়ে থাকতে হবে।
রংপুর শহরে তার সঙ্গে কথা হয় হ্যালোর। পেট চালানোর তাগিদে রংপুর সদরের গঙ্গাচড়া থেকে তিনি কাজ করতে এসেছেন।
সারাদিন ভ্যান চালিয়ে যে টাকা আয় হয় তা দিয়েই কোনো রকমে পরিবারের খাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যায় বলে জানালেন।
আনোয়ারুল হ্যালোকে বলেন, “ দেশের অবস্থা ভালো না। তাও পেটের লাইগা ভ্যান চালাই। এখানে মাল দিতে আইছি, দিয়েই চলে যাব।”
এই শহরেই কথা হয় নুরুল ও কাশেম নামের দুইজন রংমিস্ত্রির সঙ্গে। পরিবারে দুই মুঠো খাবারের যোগান দিতে তারা দিনরাত কাজ করে।
সারাদিন বাড়িতে থাকলে পরিবারের সবাইকে না খেয়ে থাকতে হবে বলে জানান।
কাশেম হ্যালোকে বলেন, “বাইরে বের হমু না কী করমু, খাওনের টাকার জন্য বাইর হই।”
নুরুল হ্যালোকে বলেন, “চেষ্টা করি স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে।”