বর্ষসেরা শিশু সাংবাদিকদের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বার বার ঘোষণা করা হচ্ছিল, "হ্যালোর প্রতিটি শিশু সাংবাদিকই সেরা। তবে বিশেষ অবদানের জন্য কাউকে কাউকে আজ পুরষ্কৃত করা হচ্ছে।"
ঘোষণাটি লক্ষ্য করেন অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়া অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালও।
তিনি এ সময় বলেন, "আমি খুবই খুশি হয়েছি। রুপকথাই তো তোমার নাম? না? যে তুমি একটু পর পর বলছো পুরষ্কারটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা যারা পুরষ্কার পেয়েছি তারাই ভালো, বাকিরা ভালো না - এটা ঠিক নয়। এটা খুবই সত্যি কথা। তুমি একটা সত্যি কথা বলেছ।"
শৈশবে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েও কোনো পুরস্কার না পাওয়ার আক্ষেপ অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের।
তিনি বলেন, “আমি আমার নিজের জীবন দিয়ে বলতে পারি, আমি আমার সারা জীবনে কোনো পুরস্কার পাই নাই। যখন আমি ছোট ছিলাম সব জায়গায় পার্টিসিপেট করেছি। কবিতা আবৃত্তি করার সময় ভুল উচ্চারণে আবৃত্তি করেছি। দৌড়ানোর সময় দৌড়িয়েছি মাঠে গিয়ে, বড় বড় রচনা লিখেছি। কখনও কোনো পুরস্কার পাই নাই। তখন যারা পুরস্কার পেয়েছে, তাদেরকে খুবই হিংসা করেছি।"
তিনি আরও বলেন, “কাজেই আজকে যারা পুরস্কার পাওনি, জানবে আমি তোমাদের সঙ্গে আছি। পুরস্কার না পাওয়ায় খুব ক্ষতি হয়নি। আজকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যে পুরস্কার বিতরণী হয়, তাতে আমি পুরস্কার দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। পুরস্কার পাওয়ার থেকে দেওয়ার মধ্যে আনন্দ। আমি যে আনন্দ পেয়েছি, একদিন তোমরাও সে আনন্দ পাবে।”
হ্যালো তাদের ঘোষণায় আরও বলে, "আমরা মনে করি, এই পুরষ্কার প্রাপ্তি শিশুদের শেখার আগ্রহ নষ্ট করে দিতে পারে। যেটা হ্যালোর লক্ষ্যকে বিচ্যুত করবে। হ্যালো চায় শিশু সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে শিশুরা নিজের অধিকার সম্পর্কে জানবে, প্রশ্ন করতে শিখবে, অন্যায়-অসঙ্গতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। যাতে তারা ভবিষ্যতে দেশের হাল ধরতে পারে।"