দেশীয় পিঠা তৈরি করতে নানা আকৃতির পিঠার ছাঁচের প্রয়োজন হয়। মাটির পিঠার ছাঁচের চাহিদাও তাই বেশি।
স্বামীর মৃত্যুর পর অভাবের জীবনে নিজের একমাত্র মেয়েকে নিজের কাছে রাখতে পারছেন না। ভাগ্য বদলের আশায় রাজধানীতে নিজেই ঠিকমত তিন বেলা খেয়ে চলতে পারেন না। তাই বাধ্য হয়েই মেয়েকে রাখতে হয়েছে দূরে।
পেটে ক্ষুধা নিয়ে নানা সমস্যার সাথে লড়াই করতে হয় এই নারীর। নিজের কোনো দোকান নেই, ফুটপাতে বিক্রি করতে হয় বলে নানা ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয় প্রতিনিয়ত।
আঁখি বেগম বলেন, “সংসার চলে না ভাইয়া। একটা মেয়ে আছে দেশের বাড়িতে রাখছি। অনেক কষ্ট করি, বেচতে বসলে পুলিশ মাইরা উঠায় দেয়, এতো নির্যাতন করলে ক্যামনে ভালো থাকমু। করোনার কারণে আগে যাও বেচা কিনা হতো এখন তা হচ্ছে না।”
মিরপুর ১২ নম্বর এলাকার একটি বস্তিতে থাকেন তিনি। বর্তমানে শারিরীক অসুস্থতা থাকলেও তাকে রাস্তায় নেমে ব্যবসা করতে হচ্ছে। প্রতিদিন দুই থেকে তিনশ টাকা আয় হয়। তবে কখনো কখনো ৫০০ টাকাও হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, “এখন কর্ম কইরাই তো খাইতে হবে। যখন কিছুই হয় না তখন মানুষের কাছে চাইয়া খাইতে হয়।”