তার কাজ ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের পানির বোতল সংগ্রহ করে তা পুনরায় লঞ্চের পানির প্লান্ট থেকে ভরে বিক্রি করা।
রাকিব তার কাজ সম্পর্কে বলে, “আমি বোতল টোকাই এরপর এগুলারে বান্ডিল করি, রশি দিয়া বাঁধি। তারপর লঞ্চ থেইকা প্রতি বোতল দুই টাকা কইরা পানি ভরি আবার দশ টাকা বোতল বিক্রি করি।”
এ কাজে তার প্রতিদিন দুইশ থেকে দুই হাজার টাকা আয় হয়। আয়ের কথা জানতে চাইলে রাকিব বলে, “টাকা কামাইয়া মায়ের কাছে পাঠাই।”
লেখাপড়ার ইচ্ছা থাকলেও পারিবারিক অভাব অনটনের সঙ্গে লড়াই করে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেনি। বাবা মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় শ্রেণিতেই বন্ধ হয়ে যায় লেখাপড়া।
লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে রাকিব হ্যালোকে বলে, “বাপ মইরা গেছে তারপর আর লেখাপড়া করতে পারি নাই। আইয়া পড়ছি।”