তেল দেওয়া, টাকা নেওয়াসহ সকল কাজই করেন নারীরা। দিনের বেলায় দুই শিফটে পাঁচ জন নারী কাজ করেন এখানে।
কোথাও তেমন নারীদের এ পেশায় কাজ করতে দেখা না গেলেও কাজটি খুব সুবিধাজনক বলেই দাবি করেছেন এখানকার কর্মীরা।
এখানকার কর্মী পিঙ্কি আক্তার আগে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ছোট বাচ্চাকে দেখতে হয় বলে তিনি আর কাজ চালিয়ে যেতে পারেননি। তারপর ছয় মাস ধরে এই পাম্পে কাজে নিয়েছেন। এখানে দুই শিফটে কাজ করেন তিন।
কখনোও সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা আবার কখনো ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করেন তিনি। এই কাজটি তার সুবিধাজনক এবং কাজটি তাকে স্বাবলম্বী করেছে। সন্তানকেও তিনি এখন পড়াতে পারছেন।
তারই মতো আরেক নারী খাদিজা আক্তার। এই ফিলিং স্টেশনের কাজটি তার প্রথম চাকরি। স্বামীর একার আয়ে সংসার চলে না। আবার রয়েছে ছোট বাচ্চা যাকে একা রেখে কাজে যাওয়া সম্ভব ছিল না খাদিজার। এখন সন্তান সাথে নিয়ে ফিলিং স্টেশনে কাজ করেন তিনি।
খাদিজা বলেন, “বেতন যাই পাই না কেন কেন কাজ করতে ভালো লাগে কারণ আমি বাচ্চাটাকে নিয়ে কাজটা করতে পারি।”
কিছু মানুষ কটুক্তিও করলেও এসব সামাল দিয়ে ভালোভাবেই তারা তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারেন বলে জানালেন।
এসব অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে খাদিজা বলেন, “কিছু মানুষ অনেক সময় একটা খারাপ কথা বলে ফেলে, আবার যখন বুঝাইয়া বলি যে আপনারও তো মা বোন আছে। আমরা কাজ করে খাই আমরা ছোট না। তখন আবার অনেকে নিজের ভুল বুঝতে পারে।”