এই সাইক্লোনে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কপোতাক্ষ তীরবর্তী উপকূলীয় প্রতাপনগর ইউনিয়ন।
স্থানীয়রা জানান, ২০ অগাস্ট ফের জোয়ারের পানি প্রবল বেগে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। প্রতাপনগর থেকে জেলা, উপজেলায় যোগাযোগের একমাত্র সড়ক জলের তোড়ে ভেসে যায়। এখনও বদলায়নি সামগ্রিক পরিস্থিতি।
সরেজমিনে দেখা যায়, আম্পানে এই ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষের কাঁচা পাকা ঘর বাড়ি ভেঙে গেছে। স্যানিটেশন ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে।
চারদিকে পানি থাকায় শীতে কষ্ট আরও বেড়ে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
বাড়ি ভাসছে পানিতে। তাই পরিবারের সঙ্গে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে শিশু সামাদ।
সে হ্যালোকে বলে, “আমরা অনেক কষ্টের মধ্যে আছি। কষ্টে আমাদের অনেক বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের অনেকে অন্য জায়গায় চলে গেছে। ঝড়ে ঘরের চাল উড়ে গেছে আমাদের।”
সাত বছর বয়সী আবু রায়হান হ্যালোকে বলে, “চারদিক ভাঙা। ছয় মাস ধরে পানি। খেলাধুলা করতে পারি না, ঘরও ভাঙা।"
নাসির নামের আরেক শিশু বলে, “কোনো জায়গায় খেলতে যাতি পারি না, চারদিকে পানি। কোনকিছু খাতি পারি না। কোনো জায়গায় যাতি পারি না। কষ্ট অইতাছে খালি।”
জোয়ারের পানি বাড়ায় সন্তানদের নিয়ে দোলনায়, গাছে বসে থাকতে হয় বলে জানান রজব আলী নামের এক ব্যক্তি।
তিনি হ্যালোকে বলেন, “নদী ভাঙনে মেইন রোড ভেসে যাওয়ায় চলাচল খুব কষ্ট। দুইটা বড় বড় বাজারের মালামাল নিতে পারে না। আমরা খুব কষ্টে আছি।”
প্রতাপনগর ইউনিয়নটি সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়া পায়নি বলে মনে করেন আলমগীর নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি।
তিনি হ্যালোকে বলেন, “আমরা খুবই অসহায়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি, আমাদের সাহায্য করুন, আমাদের বাঁচান।"
নিজেদের বাড়িতে এখন আর থাকার কোনো অবস্থা নাই বলে জানান আরাবুল নামের এক ব্যক্তি।
তিনি হ্যালোকে বলেন, “কোনো রকমে বেঁচে আছি। চুলাপুলা কিছু নাই। খাওয়া-দাওয়ার খুব কষ্ট।“
রাষ্ট্রপ্রধান চাইলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে পারেন বলে মনে করেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির হোসেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনি মমতাময়ী মা, এই প্রতাপনগর ইউনিয়নবাসীকে বাঁচান।"