এতে রাস্তায় শৃঙ্খলা ফিরবে বলে মনে করছে সিটি কর্পোরেশন।
১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরের পর ঢাকায় আর কোনো রিকশা বা রিকশাভ্যানের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি, নবায়নও বন্ধ ছিল। কিন্তু রাস্তায় নতুন রিকশা নামতে অসুবিধা হয়নি।
তাছাড়া এই বাহনকে ঘিরে ঢাকায় কয়েক লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তকে কীভাবে দেখছেন রিকশা চালকেরা, তা নিয়েই তাদের সাথে কথা হয় হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
রিকশা চালক মো. লৈকত আলী শেখ বলেন, “রেজিস্ট্রেশন করলে তো রিশকা ভালো হবেই। রিশকা অরজিনাল হবে৷ ডুপ্লিকেট হবে না। কোনো জায়গায় ধরবে না। আমগোরই ভালো হবে চালাইতে।”
রহমত মিয়া নামের আরেক চালক বলেন, “এই ভাবে পুলিশে টাকা পয়সা নিবে না। ধরাধরি হলে কেউ কিছু নিবে না।"
ঢাকা শহরে অনেক দিন থেকেই রিকশা চালান আবদুল বারেক।
তিনি বলেন, “এখন যদি নতুন প্লেট নাম্বার ছাড়ে আর কি, তাহলে আমরার সুবিধা হবে। নতুন মেয়র বলছেন যে সামনে নতুন প্লেট নম্বর দিবে। যদি এইটা দেয় তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হইব।”
তবে এই সিদ্ধান্তে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরা।
পঞ্চাশোর্ধ মো. দিদার আলী বলেন, “বাংলাদেশে সব তো গরিব মানুষ। এহন তো সব রিকশা চালায়, অটো চালায়। এহন এইগুলা যদি না চালায়, তাহলে গরিব মানুষ কি করে বাঁচব?
এই সিদ্ধান্তে হুট করে গ্রাম থেকে ঢাকায় আসা নতুন চালকদের সমস্যা হবে বলে মনে করছেন মো. আল আমিন নামের আরেক চালক।
লতিফ খান বলেন, “যারা দেশ গ্রাম থেকে নতুন আসবে তাদের সমস্যা হইবা দাড়াবে৷ ঢাকায় আইসা কোনো কাজ কাম পাবে না। আগে তো গাড়ি পাইত, রিকশা চালাইত। এখন তো সেটা পাবে না।”
"এখন যাদের নিবন্ধন আছে তারাই চালাইতে পারবে।”
গত তিন বছর ধরে রাজধানীয় ঢাকায় ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা চালান আবুল কালাম। হ্যালোকে তিনি বলেন, “সকাল বেলাতে এত ঘুরছি, এখনো ১০০ টাকা আয় করতে পারিনি। পুলিশ ধাওয়া করে।"
ভাড়া নির্ধারণ করলে চালকের সুবিধা হবে বলে মনে করছেন আল-আমিন হোসেন নামের আরেক চালক। তিনি বলেন, “দেখা গেছে এক জায়গা ভাড়া ৫০ টাকা। আমরা যদি ৫০ টাকা বলি তাইলে হেরা (যাত্রী) মানে না। মনে করে ৩০ টাকা ভাড়া।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর হতে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংগৃহীত আবেদন পত্রের সংখ্যা এক লক্ষ ৪৫ হাজার ২৪৮টি।
নগর ভবনের ভাণ্ডার ও ক্রয় বিভাগ এবং আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোর দপ্তর হতে অফিস চলাকালীন ১০০ টাকার (অফেরতযোগ্য) বিনিময়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে জমা নেওয়া হয়েছে।
এরপর গৃহীত আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে যোগ্য বিবেচিত হওয়া আবেদনগুলোর অনুকূলে নির্ধারিত ফি জমাদান সাপেক্ষে নিবন্ধন প্রদান করবে ডিএসসিসি।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে ঢাকা দক্ষিণের এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ভ্যান চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।