প্রতি বছরই পরীক্ষার ফল প্রকাশের এমন খবর পাওয়া যায়। অল্পতেই খুশি, দুঃখ ও রাগ অনুভব করা কিশোর বয়সের বৈশিষ্ট্য। পরীক্ষায় ব্যর্থতার পর পরিবারের সহযোগিতার অভাব, বরং উল্টো তাকে কটু কথা শোনানো, প্রতিবেশী, আত্মীয় ও সহপাঠীদের চাপও বড় কারণ। এই বিষয়ে কয়েকজন কিশোর কথা বলেছে হ্যালোর সঙ্গে।
কলেজ শিক্ষার্থী ইরাফান আশিক রাফাত বলে, “একটি পরীক্ষার ফলাফল কখনই একটি ছাত্রের মান নির্ণয় করতে পারে না। তার মেধার উপর নির্ণয় হয় সে ভালো বা খারাপ কতটুকু। অনেকেই রেজাল্ট খারাপ হবার পর নিজের জীবন দিয়ে দেয় বা চেষ্টা করে। কিন্ত ব্যর্থ হওয়া মানে নতুন উদ্যমে সফলতার চেষ্টা করা। এটা আমাদের পরিবারকেও বুঝতে হবে।”
স্কুল শিক্ষার্থী মো. আরিফ বলে, “যারা পরীক্ষায় ভালো করে তাদের সাথে খারাপ যারা করেছে তাদের একটা তুলনা করা হয়। অভিভাবকরা চাপ দেয় যে অমুকের সন্তান ভালো করেছে তুই কেন পারলি না? এই চাপটা অনেকেই নিতে পারে না। কিন্ত আত্মহত্যাও কোনো সমাধান হতে পারে না।”
শিক্ষার্থী শেখ সাদী বলে, “উৎসাহ দিলে সফলতার কাছে পৌঁছানো যায়। কিন্ত আমাদের ফ্যামিলিতে হয় তার উল্টো। কেউ খারাপ করলে তাকে উৎসাহের বদলে গালমন্দ করা হয়। এতে ঐ শিক্ষার্থী আরও ভেঙে পড়ে। মন খারাপ হয়ে গেলে পড়ালেখার উপরই অনিচ্ছা চলে আসে। আবেগ নিয়ে এই বয়সে ঝামেলা হয়। এই সময়ে পরিবারের উচিত পাশে থেকে সহযোগিতা করার।”
নবম শ্রেণির ছাত্র মাহিনুল খান বলে, “সমাজ থেকেই একটা চাপ আসে। আমাদের সারাদিনই স্কুল, প্রাইভেট, পড়াশোনার মাঝে থাকতে হয়। বাবা-মার ভালো ফলাফল চাওয়া, অন্যের ফলাফল মেনে নিতে না পারা আমাদেরকে বাড়তি প্রেশার দেয়। এত আমরা মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি।”