হারিয়ে যাচ্ছে ঘুড়ি আর ঘুড়ি ওড়ানোর আনন্দ। এক সময় রঙ বেরঙয়ের ঘুড়িতে ছেঁয়ে থাকতো সারাটা আকাশ। এখন সেই দৃশ্যের দেখা মেলে কালে ভদ্রে!
সম্প্রতি বাসাবোর একটি মাঠের আকাশে উড়তে দেখা গেলো ঘুড়ি। শিশু-কিশোরদের মাঝে সে কী উল্লাস।
পুরান ঢাকার শাকরাইন উৎসবে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রচলন থাকলেও এমনিতে শহরে ঘুড়ি ওড়ানোর দৃশ্য খুঁজে পাওয়া কষ্টকর।
সুতো, নাটাই আর ঘুড়ি নিয়ে মাঠের দিকে রওনা দিতে দেখা যেত ছোটদের। এক সময় ঘুড়িতেই চলত প্রতিযোগিতা। যার ঘুড়ির সুতোতে যত বেশি ধার তারই থাকতো জয়ী হবার সম্ভাবনা।
সেই দিনগুলি আজকের শিশুদের মাঝে ফিরবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
১০ বছর বয়সী সাব্বির হোসেন নাটাই ঘোরাতে ঘোরাতে বলে, “আট টাকা আর পাঁচ টাকা করে কিনে আনছি ঘুড়ি। উড়াইতে আমার খুব ভালো লাগে।”
এক সময় সাধারণ কাগজ ব্যবহার করেই নিজেদের হাতে বানানো হতো ঘুড়ি। খবরের কাগজ লম্বালম্বি কেটে ভাত বা আঠা দিয়ে লাগিয়ে তৈরি হতো ঘুড়ির লেজ। লম্বা লেজ ছিল ঘুড়ির আলাদা বৈশিষ্ট্য। বাহারি আকারের ঘুড়ির চাহিদা ছিল।