সম্প্রতি হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় এই শিশুদের।
কলোনি ঘুরে জানা যায়, এখানে প্রায় ৮৫ পরিবারের বাস। প্রতিটি পরিবারের কেউ না কেউ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করে।
সময়, বাস্তবতায় প্রতিটি ঘরের শিশুরা এখন লেখাপড়া করছে। ঐতিহ্যগত পেশা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চায় এ কলোনির শিশুরা।
জাহাঙ্গীরনগর স্কুল এন্ড কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে রাহুল দাস। স্বপ্ন দেখে বড় চাকরি করবে।
সে হ্যালোকে বলে, “আমাদের যে ঐতিহ্যগত পেশা সেখান থেকে আমরা বের হয়ে আসতে চাই। আমাদের পরিবারও আমাদের খুব সাপোর্ট করে।”
বড় হয়ে শিক্ষকতা করতে চায় দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রী রাশি। সে হ্যালোকে বলে, “আমার পড়তে খুব ভালো লাগে। আমরা সবাই মিলে স্কুলে যাই।”
দ্বিতীয় শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী তৃষ্ণা বলে, “আমি বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই।”
নিপা রানী নামের আরেক শিশুও জানায় চিকিতসক হওয়ার স্বপ্নের কথা।
সে বলে, “আমার পড়তে ভালো লাগে। আমার বাবা যে কাজ করে আমি সেই কাজ করতে চাই না।”
এখন ছেলেমেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চান এই কলোনির বাসিন্দা তন্ময় দাস।
তিনি হ্যালোকে বলেন, “আমাদের পেশা থেকে ছেলেমেয়েদের বের হতে গেলে দরকার শিক্ষা। সেজন্য আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করাচ্ছি।”
রিতা রানী নামের আরেক অভিভাবক বলেন, “পোলাপান পড়ালেখা করবার চায়। আমরা যে কাজ করি সে কাজ করবার চায় না। আমরাও চাই তাদের পড়াইতে।”