সম্প্রতি হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় রেশমার।
ও জানায়, পড়ালেখা করে অনেক বড় হতে চায়। কিন্ত গত অক্টোবরে বিয়ে ঠিক হওয়ায় পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। তবে বিয়ে বন্ধ হওয়ায় পরীক্ষা দিয়েছে ও।
স্থানীয় সিবিসিপিসির সদস্য শফিকুল ইসলামের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয় এই বাল্যবিয়ে।
শফিকুল বলেন, “জানার পর রেশমার বাবা মার সঙ্গে কথা বলি। তাদের বোঝাই বাল্যবিয়ের কুফল। তারা বুঝেছেন।”
মিরপুর ১২ এর একটি বস্তিতে বাবা মার সঙ্গে থাকে রেশমা। চার বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে রেশমা ও বড়।
তার মা বলেন, “অভাবের সংসারে বাবার স্বল্প উপার্জনে এত বড় পরিবার চালানো দায়। তাই দ্রতই মেয়েকে অন্যবাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করি।
“এই স্যার আমাকে বুঝাইছেন যে মেয়ে ছোট, আর লেখাপড়ার দরকার আছে। তাই আমি চেষ্টা করতাছি, মাইয়ারে লেখাপড়া করাবো আমি।”
রেশমা খাতুন বলে, “আমি পড়ালেখা করতে চাই। পড়ালেখা করে ভালো কাজ শিখতে চাই এবং ভালো একটা চাকরি করতে চাই।”
বাল্যবিয়ে নিয়ে কাজ করা এডুকেশন ইকুইটি ফর আউট আব চিলড্রেন প্রোজেক্টের কো অর্ডিনেটর মাকসুদুল কবির বলেন, সামাজিক ও ব্যক্তিগতভাবে নানান উপায়েই বন্ধ করা যায় এই বাল্যবিয়ে নামক ব্যধি।
তিনি জানান, প্রথমত অভিভাবকদের বোঝাতে হবে যে বাল্যবিয়ের কুফল কী কী। কী ক্ষতি হতে পারে মেয়ের। এরপর যদি না বোঝে তাহলে প্রতিটা ওয়ার্ডেই শিশু সুরক্ষা কমিটি আছে যার সভাপতি স্থানীয় কাউন্সিলর। তাদের জানিয়ে বন্ধ করা যায়। পাশপাশি,যারা স্বেচ্ছাসেবক আছে তাদের সহায়তাও নেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও থানা পুলিশকে অবহিত করার মাধ্যমে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা সম্ভব।