রাজধানীর মিরপুর ১২ এর একটি স্কুলে গিয়ে কথা হয় শিশুদের সঙ্গে।
জানায়, এখানে তারা শিক্ষার পাশাপাশি বই-খাতা, কলম-পেন্সিল ইত্যাদি কেনার জন্য আর্থিক সহায়তাও পেয়ে থাকে।
ইউনিসেফ ২০১৪ সালে সুরভি নগর অঞ্চলের দারিদ্রপীড়িত বস্তি এলাকায় বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই প্রকল্প চালু হয়।
১১ বছর বয়সী গৌতম দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তার পরিবারের পড়াশোনার খরচ চালানোর মতো উপার্জন নেই। এখানে পড়ার সুযোগ হওয়ায় গৌতম বেশ আনন্দিত।
সে বলে, “আমরা প্রতিদিন স্কুলে আসি। আমরা আনন্দ করি। পড়ার ফাঁকে ফাঁকে খেলাধুলা করি। ম্যাডাম আমাদের যত্ন নেন।”
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ঊর্মী বলে, “ম্যাম হাতে কলমে পড়ান। কখনও বকাঝকা করেন না।”
এই প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর মাকসুদুল কবির মন্ডল বলেন, “এটাকে বলা হয় সেকেন্ড চান্স এডুকেশন। এটা ইউনিসেফের একটা প্রকল্প।
“যেখানে স্কুল থেকে ঝরে পড়া বা স্কুলে যায়নি এমন ৮ থেকে ১৪ বছরের শিশুদেরকে আমরা এডুকেশন সাপোর্ট দিচ্ছি। নন-ফরমাল এডুকেশনের মাধ্যমে প্রাইমারি এডুকেশন কোর্সটা আমরা কমপ্লিট করছি।”
সারা বাংলাদেশে এই প্রকল্পের আওতায় থাকা প্রায় ১৮০০ শিশু এবার প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেবে।
দুই শিফটে ক্লাস হয়ে থাকে এই স্কুলে। প্রথম শিফট সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় শিফট দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। শিক্ষার পাশাপাশি এখানে শেখানো হয় নাচ, গান, ছড়া ও কবিতা।