সকালে স্কুলে গেলেও বিকেলে ছুটে যায় শাড়ির কারখানায় কারচুপির কাজ করতে। পরিবারের আর্থিক অসঙ্গতির কারণে এই বয়সেই তাদের কাজে নামতে হয়েছে।
সম্প্রতি হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় তাদের।
জানায়, শুধুমাত্র পড়া শোনার জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাদের।
আফরিন হ্যালোকে বলে, “আমি পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করি। আমাদের পরিবার খুবই অসচ্ছল।
“আমি দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কাজ করি। যা পাই তা মাকে দেই, মা আমার যা লাগে ততটুকু দেয়। আমি এতেই খুশি থাকি।”
আফরিনের সাথে একই স্কুলে এবং একই জায়গায় কাজ করে সুমাইয়া। সুমাইয়ার মুখে হাসি যেন লেগেই থাকে।
মৃদু হাসির সাথেই সে বলে, “আমার বাধ্য হয়েই এই কারচুপির কাজ করতে হয়। কারণ আমাদের সংসারে অনেক অভাব। কাজের পাশাপাশি আমি পড়াশোনাও করছি। আপনাদের কাছে আমার এটাই অনুরোধ, আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন বড় হয়ে একজন শিক্ষক হতে পারি।”
তাদের দুজনের স্কুলের শিক্ষক মর্জিনা আক্তার বলেন, “সুমাইয়া ও আফরিন আমার ছাত্রী। ওদের লেখাপড়ার খুবই ইচ্ছা ছিল কিন্ত ওরা কাজ করে বিধায় ওদের বাবা মা পড়তে দিচ্ছিল না।
“আমাদের এখানে সুযোগ আছে একবেলা পড়ার তাই তাদের বুঝিয়ে আনতে হয়েছে। ওদের পড়াতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।”