‘প্রযুক্তি আসক্তি শিশুর মানসিক বিকাশের অন্তরায়’ (ভিডিওসহ)
অভিভাবকদের অভিযোগ, রাজধানীতে খেলাধুলার পরিসর বা খেলার মাঠ ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। ফলে শিশু-কিশোরদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ প্রযুক্তিতে আসক্ত হয়ে পড়ছে।
দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সৃজিতা সরকার (৬) বলে, পড়াশোনার পাশাপাশি কার্টুন দেখে, গেমস খেলে।
সে বলে, “খেলার কোনো জায়গা নাই। ছাদে গিয়ে মাঝেমাঝে খেলি।”
সৃজিতা সরকারের মা বলেন, “আমরা একসময় মাঠে খেলতাম। এখনকার বাচ্চারা মাঠ না থাকায় সে সুযোগ পাচ্ছে না। মেয়েকে খেলতে পাঠিয়েও টেনশনে থাকতে হয়। নিরাপর আছে কীনা।”
ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আলী ওয়াসির বাবা মহিউদ্দিন পলাশ বলেন, “বাবা-মা সন্তানদের প্রযুক্তির প্রতি আসক্ত করে ফেলছে। যখন বাবা মা দুজনই জব করছে তখন দেখা যাচ্ছে ছেলেমেয়ে একাই বড় হচ্ছে। এছাড়া ছেলেমেয়ে খুব বেশি বিরক্ত করলে দেখা যাচ্ছে তাদের হাতে ডিভাইস দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
শিশুদের অতিরিক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফল কী হতে পারে জানতে চাইলে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের নবজাতক, শিশু ও কিশোর বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, “প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারে দেখা যাচ্ছে শিশুরা ঠিকমত খাচ্ছে না, কারোর সাথে মিশছে না, একা থাকতে পছন্দ করছে। একটা সময় দেখা যায় অস্বাভাবিক আচরণ করে। মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যায় অনেক সময়।”
শিশুদের প্রযুক্তির ব্যবহার বন্ধ কীভাবে কমানো যায় সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জোরপূর্বক প্রযুক্তির ব্যবহার কমানো যাবে না। শিশুকে বিনোদন দেওয়ার বিকল্প উপায় খুঁজতে হবে। এক্ষেত্রে পার্কে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে, ঘুরতে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।”