‘পাঠাগার হোক মানুষ গড়ার হাতিয়ার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে
রাফসানুল এহসান নামের এক ব্যক্তির একক প্রচেষ্টায় ২০১৪ সালের পহেলা অক্টোবর মাত্র পাঁচজন সসদ্য নিয়ে এ পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, পাঠাগারের সার্বিক কাজ পরিচালনার জন্য পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন পাঁচজন। বই নেওয়া, জমা রাখা, মাসিক চাঁদা তোলা পুরো কাজটি করে শিশুরাই।ছিমছাম এই পাঠাগারে রয়েছে প্রায় পনের শো বই।
ছোট এই পাঠাগার যেন হয়ে উঠেছে বস্তির অনেক শিশুর তথ্য জানার উৎস।
এই পাঠাগার থেকেই জীবনের লক্ষ্য স্থির করেছে বলে জানায় এক শিক্ষার্থী।
ও বলে, “আমি এবার এসএসসি পাশ করেছি। এ পাঠাগার আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে।”
পাঠাগারে আসার মাধ্যমে বস্তির মেয়েদের ঘরবন্দী অবস্থা থেকে মুক্তি ঘটেছে বলে জানায় পাঠাগারের আরেক সদস্য আসমা।
পাঠাগারের দেয়ালে টানানো আছে হাতে আঁকা ছবি। যত ছবি আছে সব পাঠাগারের সদস্যদেরই আঁকা বলে জানান পরিচালনা পরিষদের সদস্য সীমা দত্ত।
জানান, প্রতিমাসেই এই পাঠাগার থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন সামাজিক কাজও করে থাকে এ পাঠাগারের সদস্যরা। যেমন, শীতবস্ত্র সংগ্রহ ও বিতরণ, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা তহবিল সংগ্রহ ও বিতরণ।
এ পাঠাগারের পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছায়েদুল হক নিশান পাঠাগার নিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, “পাঠাগারটিকে একটি স্থায়ী জায়গায় নিয়ে যেতে চাই।”
বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ পাঠাগার প্রায় বস্তির সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকে। পাঠাগার কক্ষটির ভাড়া চার হাজার চারশ টাকা। সদস্যদের চাঁদা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের দান থেকে মেটানো হয় এই ব্যয় ভার। বর্তমানে এ পাঠাগারের সদস্য সংখ্যা ৮৩জন।