কখনো রং চা, কখনো দুধ চা আবার কাউকে পান বানিয়ে দিতে দিতে হ্যালোর সঙ্গে কথা বলে ও।
কথা বলে জানা যায়, অভাবের কাছে হার মেনে জীবিকার তাগিদে বরিশালের বানাড়িপাড়া থেকে তাকে চলে আসতে হয়েছে ঢাকায়। গ্রামের স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়লেও এখন আর পড়ালেখা হয় না তার। টাকার অভাবে পড়াতে পারে নাই তার বাবা মা।
দুই ভাইবোনের ছোট আলমগীর স্বপ্ন দেখতো পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রিকেটার হওয়ার। গ্রামে থাকতে নিয়মিত সকাল বিকাল অনুশীলনও করতো ক্রিকেট।
ও জানায়, বাংলাদেশের ক্রিকেটের টিমের মধ্যে বোলিং এ মুস্তাফিজ আর ব্যাটিং এ মুশফিকের খেলা ভালো লাগে তার।
সুযোগ পেলে পড়াশোনা করতে এবং খেলোয়াড় হতে চায় কিনা জানতে চাইলে আলমগীর বলে, “মুস্তাফিজ-মুশফিক হতে চাই। পড়াশোনাও করব, মুশফিক-মুস্তাফিজও হব।”
আর্থিক অনটনের শিকার আলমগীরকে কাজের সুযোগ দিয়ে একটি ভালো কাজ করেছেন বলে মনে করেন টঙের দোকানটির মালিক আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, “সাংসারিক অভাব অনটনের জন্যই আমার এখানে কাজ করে। বাবা মা যদি ওরে পড়াশোনা করাইতে পারত তাহলে আমার কাছে দিতেন না।
“ছেলেটাকে যদি আমি কাজে না নিতাম না তাহলে ও রাস্তায় রাস্তায় ঘুরত, অন্য লাইনে চলে যেতে পারত, খারাপও হয়ে যেতে পারত।”